শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পদ্মাসেতু ও অর্থনৈতিক জোনে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫১ কোটি টাকার প্রকল্প॥

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠক

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু ও অর্থনৈতিক জোনের কারণে বিপুল বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে সেতুর ওপারের জেলাগুলোতে। এ চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে স্থাপিত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এটিসহ ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে।
ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ৬৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২ দশমিক ৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ফেজ-২) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থ্রি জি প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, থ্রি-জি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও চালুকরণের জন্য ১২০০টি নোডবি বেজ স্টেশন (টাওয়ার) স্থাপন, ২ দশমিক ৫ জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ৫০০টি বিটিএস (টাওয়ার) স্থাপন, আনুষঙ্গিক ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতিসহ আইপি নেটওয়ার্ক ও কোর নেটওয়ার্ক স্থাপন। থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২ দশমিক ৫ জি নেটওয়ার্ক প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে ৩২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সুগার রিফাইনারি স্থাপন প্রকল্প, ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং ৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনাফ-রামু-গ্যারিসন-মরিচ্যা-পালং সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবেই। এখানে কোনো কম হবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। আমেরিকার প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী; আমাদের প্রবৃদ্ধি উচ্চমুখী। আমাদের সরকার আমলে ৫ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ গত ৬ মাসে বেড়েছে। অর্থনীতির সব সূচকও বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন