শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ রুখতেই সউদী জোটে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৫ পিএম, ২২ জুন, ২০১৬

শান্তির ধর্ম ইসলামের সম্মান যেন উচ্চ শিখরে নিতে পারি সে প্রচেষ্টা থাকবে -প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রুখতেই সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সউদী আরব একটি ইসলামী জোট গঠন করেছে। বিশ্বের প্রায় ৪০টা দেশ এ জোটে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
গতকাল বুধবার দশম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় আমাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে ইতিমধ্যে আমরা জিরো টলারেন্স অর্থাৎ কোনমতেই জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসকে আমরা প্রশ্রয় দেব না সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এ আহ্বান সব সময় আমি করি। ওআইসিতে যতবার আমি গিয়েছি এ প্রসঙ্গটি আমি তুলেছি। ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে যখনই দেখা হয়েছে আমি এ কথাটা বলেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যা যা করণীয় সেটা বাংলাদেশ করবে। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটা আমি সকল মুসলিম দেশকে জানিয়েছি। সউদী বাদশাহকেও জানিয়েছি। ওআইসিকেও জানিয়েছি। আজকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে সেটা যেন আর না ঘটে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তির ধর্মের সম্মান যেন উচ্চ শিখরে নিতে পারি সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায় দক্ষিণ এশিয়াসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অর্জনকে সমুন্নত রাখতে আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যমুক্ত একটি শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করার জন্য গভীর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে, আমরা পেট্রোলসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের অপব্যবহার এবং সকল ধরনের অস্ত্র বিস্তাররোধে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাব। এর পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের যে কোন শুভ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আমরা একযোগে কাজ করে যাব। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ভাবমর্যাদা বজায় রাখতে আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির সময়ের ধর্মমন্ত্রী কায়কোবাদ সউদী আরবে অবস্থান করছেন এবং সেখানে থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন, তাকে ফেরত আনা প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রকম অনেক অপরাধী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে। বাংলাদেশ সবসময় সে সকল সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা, ওয়ারেন্ট রয়েছে তাদেরকে নিয়ে আসা, সাজা দেওয়া বাংলাদেশের কর্তব্য। যে ভদ্রলোকের নাম উনি বললেন সে সউদী আরবের কোথায় আছে সে বিষয়টা নিয়ে নিশ্চয়ই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে যাতে এ আসামিকে ধরে নিয়ে এসে সাজা দেওয়া যায়।
শাজাহান কামালের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদ নেতা বলেন, দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদন বৃদ্ধি এসব লক্ষ্য নিয়েই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। বিদেশি বিনিয়োগ যাতে দেশে আসে সে জন্য আমরা বিশেষ সুবিধাগুলো দিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উদারনীতি গ্রহণ করেছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আমাদের দেশে প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বে বিরাট সুযোগ দিচ্ছে- এটা বিশ্বে স্বীকৃত। ২০১৪ সালের তুলনায় বিনিয়োগ এবার ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নারী-পুরুষ সকলের জন্য উন্মুক্ত। নারী, পুরুষ যে কেউ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এটা শুধুমাত্র পুরুষদের নির্বাচন বলে কথা নেই। নারীরা সরাসরি নির্বাচন করে। আমরা ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রথম নারীদের জন্যে সংরক্ষিত আসন নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেই। সৃষ্টি করে দেই সংরক্ষিত আসন। সংরক্ষিত আসনগুলোতে শুধু নারীরাই দাঁড়াতে পারে। পুরুষ পারে না। এখানে উনি যেটা বলেছেন, তিনটা ওয়ার্ড মিলিয়ে একটি, এটাই হচ্ছে সেই সংরক্ষিত আসন। সংরক্ষিত বলেই বিস্তৃত করা হয়েছে। যে ৩০ শতাংশ কোটা আমরা দিয়েছি এখানে শুধু নারীরাই দাঁড়াতে পারে। নারীর ক্ষমতায়নে এটা মাইলফলক। এটা হচ্ছে নারীদের জন্যে একেবারে সংরক্ষিত আসন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ভেবেছিলাম প্রশ্নটি হবে নারীদের এত ক্ষমতা দিলাম পুরুষদের জন্য কিছু করব কি-না। উনি সেই প্রশ্নটা করবেন। তবে সেইদিন বেশি দূরে নয়, ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে পুরুষ অধিকার সংরক্ষণ কমিটি করা হচ্ছে, আমার সমর্থন পাবেন।
অপর এক খবরে বলা হয়, পরের কাছে যেন হাত পেতে চলতে না হয় সে উদ্দেশ্য সামনে রেখে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার গণভবনে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১০০টি শাখা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় যেসব চিন্তা ভাবনা করেছিলেন, যে সব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন, সে সব সম্পর্কে জানার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার।
 তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে। সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন এই দেশের মানুষের জন্য। তাই এ দেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে এটা হতে পারে না। দেশের মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের করে আনতে হবে। এ জন্য যা করার দরকার তা করা হবে।
বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও‘র ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কিছু দিকের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনজিওগুলো দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষুদ্র ঋণ দিলেও সাপ্তাহিক উচ্চ সুদের হারের কারণে ঋণ গ্রহীতার হাতে আর কিছ্ইু থাকতো না। ফলে ঋণ শোধ না করতে পেরে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপর আমরা জোর দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক-এর মাধ্যমে মানুষের সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। যার সুফল পাবে সর্বস্তরের মানুষ।   
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১শ’টি শাখার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি টেলি কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, ফরিদপুর সদর উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলার ‘একটি বাড়ি একটি বাড়ি খামার’ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রতিটি বসতবাড়িকে একটি খামার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়,পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক সেই একটি বাড়ি একটি খামারেরই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। যে ব্যাংকের মালিক হচ্ছে যৌথভাবে গ্রামের সমিতিভুক্ত প্রান্তিক আয়ের নারী-পুরুষ ও সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের অধীনে দেশের সকল ইউনিয়নে-ওয়ার্ডে ১টি করে সমিতি গঠিত হয়েছে, এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। এটি দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রতিটি বসতবাড়িকে একটি খামার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমার ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এখন দেশের ৪০ হাজার ৫২৭টি  গ্রামে একটি বাড়ি একটি খামার আড়াই হাজার কোটি টাকা যৌথ মূলধন নিয়ে কাজ করছে, যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায়  গ্রামীণ দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ইতোমধ্যেই গ্রাম সমিতি গড়ে তুলে পরিবেশবান্ধব দুগ্ধ,হাঁস-মুরগী ও কৃষি খামার-প্রভৃতির মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে চলেছেন।
 উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ১০০ উপজেলায় নিজস্ব ভবনে শাখা চালু হচ্ছে। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের স্থায়ী রূপ হচ্ছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ৮ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ব্যাংকটি। ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের অনুষ্ঠানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আইন পাস হয়। ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’কে স্থায়ী রূপদান করে বিশেষায়িত ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে চালু হচ্ছে এ ব্যাংক। এর মধ্যে ৯৮ কোটি টাকা প্রকল্পের আওতায় গঠিত সমিতির শেয়ারহোল্ডারদের।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং এলজিআরডি এবং সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. প্রশান্ত কুমার রায় প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সচিব ইউনুসুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে- ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র মো. আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং ড.মশিউর রহমান,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবীর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এড. দীপু মনি, এড. রহমত আলী এবং পল্লীসঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে। সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন এই দেশের মানুষের জন্য। তাই এ দেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে এটা হতে পারে না। দেশের মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের করে আনতে হবে। এ জন্য যা করার দরকার তা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০০ উপজেলায় নিজস্ব ভবনে পল্লীসঞ্চয় ব্যাংকের শাখা চালু হচ্ছে। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের স্থায়ী রূপ হচ্ছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। যে ব্যাঙ্কের মালিক হচ্ছে যৌথভাবে গ্রামের সমিতিভুক্ত প্রান্তিক আয়ের নারী-পুরুষ ও সরকার। প্রতিটি সমিতিতে তিন ভাগের দু’ভাগ নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক বলেও তিনি জানান।
প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগাতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। আমাদের সেভাবে চিন্তা করতে হবে, পদক্ষেপ নিতে হবে।
 গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  গ্রাম যত শক্তিশালী হবে দেশের অর্থনীতি তত বেশি শক্তিশালী হবে। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য অক্ষুণœ রেখে (অর্থাৎ দেশীয় পদ্ধতিতে) উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন