কর্পোরেট রিপোর্টার
ঈদকে ঘিরে বাড়ছে হুন্ডি, কমছে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত তিন বছরে হুন্ডি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রবাসী আয়ের মাত্র ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ হুন্ডির মাধ্যমে আসতো। এখন আসছে ২২ শতাংশ। দৈব চয়ন ভিত্তিতে ১০ হাজার পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে উদ্বেগজনক এ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বিবিএস এ তথ্য প্রকাশ করে। এদিকে হুন্ডি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের তুলনায় বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিতীয় দফা বৈঠক করেছে। বৈঠকে হুন্ডি কমাতে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি পাঠিয়ে সচেনতামূলক কর্মসূচি পালন করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। এতে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। বিদেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসে এমন ১০টি ব্যাংকের প্রতিনিধিকে নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশকেও ডাকা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল রেমিট্যান্স বাড়াতে উদ্যোগী হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে পারলে হুন্ডি কমে আসবে বলে তিনি অভিমত দেন। আর হুন্ডি চক্রের কেউ যেন মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে টাকা দেশে আনতে না পারে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, চলতি অর্থবছরে হুন্ডি বেড়ে যাওয়ার কারণেই বৈধ পথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয় অনেক কমে গেছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এক হাজার ৩৪৫ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২ কোটি ২৯ লাখ ডলার বা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম। বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, হুন্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কৌশলে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাইনবোর্ড টানিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছে। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের মাধ্যমে তা পৌঁছে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন