বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বই বিতরণ বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করেছে -শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নে উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়নে সেরা বিনিয়োগ হিসেবে সারাবিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের সাফল্য অব্যাহত রাখতে এ ধরনের শিক্ষামুখী কর্মসূচি সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে বাস্তবায়নের জন্য তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অধ্যয়নরত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ শিক্ষার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়্যারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়্যারের সাহায্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারি কলেজ, সিলেটের মদনমোহন কলেজ এবং পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন উদ্ভাবিত এ পদ্ধতিতে উপবৃত্তি পেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করবে এবং তাদের আবেদন যাচাই করে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হবে। মন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে সারাদেশে ৭ হাজার কলেজ ও মাদরাসার ৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল অ্যাকাউন্টে উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের চলতি অর্থবছরের ১৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা প্রেরণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন এবং উপবৃত্তির টাকা নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ ছিল। নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এসব সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও সরকার অনুরূপ উপবৃত্তি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন