শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গি ধরা ক্রসফায়ারে হত্যা এবং উত্তরায় অস্ত্র উদ্ধার একই সূত্রে গাঁথা

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ সত্যকে চেপে রেখে ন্যায়কে কবর দেওয়া -রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা, রিমান্ডে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং উত্তরার খালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার একই যোগসূত্রে গাঁথা একটি মহাপরিকল্পনার অংশ। অশুভ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালে ফেলা হয়েছিল বলে জনগণ বিশ্বাস করে। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। কথিত বন্দুকযুদ্ধের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ সত্যকে চেপে রেখে ন্যায়কে কবর দেওয়া।
উত্তরায় অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর স্বভাবসুলভ বক্তব্যের সমতুল্য। তার বক্তব্যে আওয়ামী নেতাদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি হয়েছে। মনে হয়েছে, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আওয়ামী লীগ নামীয় দলটির পোর্টফোলিও হোল্ডার।
রিজভী বলেন, যে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়েছে, এ ধরনের অস্ত্র-গুলি মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই আমদানি ও ব্যবহার করে থাকে। মানুষের মনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া তুরাগ নদের খালে এ অস্ত্রগুলো পৌঁছাত না।
কথিত বন্দুকযুদ্ধের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক সংঘটিত এই সমস্ত হত্যাকা-কে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালানো হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, জঙ্গি দমনের নামে গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি ক্রসফায়ারে হত্যাকা-ের হিড়িক পড়েছে। আইন ও জনমতের তোয়াক্কা না করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা মানুষ হত্যার নেশায় বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। তারা জানে যে দেশের প্রচলিত কোনো আইনই তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না।
রিজভী বলেন, ‘জঙ্গি হোক, কিংবা অন্য কোনো অপরাধীই হোক, সরকারের জিম্মায় তারা খুন হয় কীভাবে? বন্দুকযুদ্ধে বন্দি মানুষ বন্দুক, গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে কীভাবে? রিমান্ড তো কঠোরতম নিñিদ্র নিরাপত্তায় বন্দীর সর্বোচ্চ স্তর, সেখানে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত আসামি খুন হয় কীভাবে? যেখানে বন্দুকযুদ্ধের নামে বন্দীদের খুন করা হয়, সেখানে যুদ্ধের ডামাডোল বা বন্দুকের কোনো শব্দ আশপাশের জনগণ শুনতে পায় না কেন?’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন