বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, এদেশ থেকে যারা ইসলাম কুরআনকে মুছে ফেলতে চায় তারাই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। ঈমান নিয়ে বাঁচতে হলে জিহাদ করা ফরজে আইন হয়ে গেছে। আল্লাহপাকই ইসলামের পতাকে উজ্জল রাখবেন। খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশের জনগণ সুশাসনের অভাব ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সোলাইমান নোমানী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা ইসমাঈল বরিশালী, মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, আলহাজ আনিসুর রহমান জিন্নাহ, এডভোকেট লিটন চৌধুরী, হাজী জালার উদ্দিন বকুল, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সানাউল্লাহ, ডা: নেয়ামত আলী ফকীর, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, এডভোকেট আব্দুল আজীজ মোমেনশাহী, মাওলানা নাসির উদ্দিন সিলেট, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ ভূঁইয়া ফেনী, মাওলানা শেখ সাদী নারায়ানগঞ্জ ও মৌলভী আব্দুল রকীব নেত্রকোনা। মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, চীন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর চলছে অমানবিক জুলুম নির্যাতন এবং প্রতিহিংসার দাবানল। কিন্তু তাদের পক্ষে কথা বলার তাদের পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই। অথচ হযরত মহানবী (সা.) নিষ্ঠুর বর্বর জাহিলিয়াতের যুগেও পরাজিত শত্রুদের উপর প্রতিশোধের পরিবর্তে দয়া ও ক্ষমার যে নজির স্থাপন করেছিলেন পৃথিবীতে তা আজ বিরল। খেলাফত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বিশ্ববাসিকে উপহার দিয়ে গেছেন তাতে মুসলমানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে।
মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলাম কুরআন হাদিস ও মহানবী (সা.) কে নিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা অপমানজনক কথাবার্তা বলার দু:সাহস দেখাচ্ছে। সব ধরনের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় খেলাফত আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাগুতি শক্তিকে পরাভূত করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন