অবশেষে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারমুক্ত হয়েছেন এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। তাকে এবার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জেলা আ.লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
অপরদিকে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক জাকির হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।
এর আগে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে শীর্ষ দুই পদে ৩২ জন প্রার্থী থাকায় ভোটের পথে না গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে উভয় পদে নেতাদের নাম ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি ২০ মিনিট সময় দিয়েছিলেন সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় নেত্রীর সিদ্ধান্তেই কমিটি ঘোষণা দিলেন ওবায়দুল কাদের। প্রায় ১৪ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়। সেই ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হয়েছিল সিলেট আওয়ামী লীগে। এরপর ২০১১ সালে সম্মেলন ছাড়াই গঠিত হয় কমিটি। তিন বছর মেয়াদি সে কমিটি পার করে ৮ বছর।
এদিকে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতায় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, গণতন্ত্র বেঁচে থাকবে। সুতরাং আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত মানেই দেশ ও জাতি সুরক্ষিত। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ এবং সরকারের উন্নয়ন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান প্রমুুখ। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি এবং প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত আছেন। সম্মেলনস্থলে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, সব দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তিনি চেয়েছেন তাই দায়িত্ব নিয়েছি। দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে চাই।
এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমৃত্যু দলের জন্য কাজ করতে চাই। তাই হয়তো নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ জন্য তিনি নেতাকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন