বিশেষ সংবাদদাতা : আগামী ২৫ জুন শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশনে নতুন ট্রেন সোনারবাংলা’র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এজন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৫ জুন কমলাপুর থেকে ৪ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট দেয়া বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম জানান, ৪ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট ২৬ জুন দেয়া হবে। আর ৫ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হবে ২৭ জুন। তবে ২৫ জুন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ৪ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। শরিফুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন নতুন ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন। সে কারণেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের সকাল থেকেই ২ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে চিত্র ছিল ভিন্ন। ২৩টি কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বেলা ১১টার মধ্যেই টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো মহিলা যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের টিকেট বিতরণে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পুরুষ যাত্রীদের এ দুই ট্রেনের টিকিট দেয়া হলেও নারী যাত্রীদের দেয়া হচ্ছে না। টিকিট না পেয়ে মহিলাদের লাইন ছেড়ে পুরুষদের লাইনে গেলেও মহিলা দেখলেই টিকিট না দিয়ে ফেরত দেয়া হচ্ছে বলেও কয়েকজন অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মহিল যাত্রীদের দেয়া অগ্রিম টিকিট কালোবাজারি হতে পারে ভেবে এই দুই ট্রেনের টিকিট তাদের দেয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে, গতকাল সকায় ৯টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি পরিদর্শন করতে আসেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: আমজাদ হোসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। টিকিট বিতরণের জন্য ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম নতুন হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে যাত্রীদের টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে। টিকিট বিক্রিতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান রেলওয়ে মহাপরিচালক। সরেজমিনে কমলাপুর গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কমলাপুরে রেল স্টেশনের ৫ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণা এক্সপ্রেসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। ওই সময় লাইনে দাঁড়ানো শত শত যাত্রী টিকিট না পেয়ে হৈ চৈ চিৎকার শুরু করেন। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার জানান, সকাল ১০টার মধ্যে অধিকাংশ আন্ত:নগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ প্রত্যেকে চারটি করে টিকিট নিতে পারছেন। ফলে দ্রুত সময়ে টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা প্রতিদিন ১৯ হাজার অগ্রিম টিকিট দিতে পারছি। কিন্তু টিকিট পাওয়ার আশায় হাজার হাজার যাত্রী লাইনে দাঁড়াচ্ছে। টিকিট সীমিত হওয়ায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রীবেশে অনেকে টিকিট সংগ্রহ করে চড়া দামে কালোবাজারি করছেÑ এমন অভিযোগের বিষয়ে শরিফুল বলেন, লাইনে দাঁড়ানো প্রত্যেক যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। টিকিট নেয়ার পর কোনো যাত্রী যদি তা কারও কাছে বিক্রি করে দেয় তবে আমাদের কী করার থাকবে। কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, অগ্রিম টিকিট নিতে যাত্রীরা ভোররাত থেকেই লাইনে দাঁড়াচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় রেলওয়ে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন