বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই। গতকাল দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পরলোক গমণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। গত ২৫শে নভেম্বর থেকে অজয় রায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচার্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন। সর্বশেষ তিনি নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।
২০১৫ সালের ফেব্রæয়ারিতে বইমেলা শেষে জঙ্গিদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়। সেদিন উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হয়ে হাতের আঙ্গুল হারান অভিজিতের স্ত্রী বøগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও। গত ২৮শে অক্টোবর আদালতে গিয়ে ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধও করেছেন। মনে প্রাণে তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তচিন্তার রাষ্ট্র চেয়েছিলেন।
অধ্যাপক অজয় রায় বাংলাদেশে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ গড়ে তোলেন। তিনি মুক্তমনার উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করেছেন। অধ্যাপক অজয় রায় একুশে পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ পান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন