শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাস্তবমুখী নেতৃত্ব চায় সিলেট বিএনপি তৃণমুল

প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফয়সাল আমীন : আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার সিলেট। এই সিলেট থেকে অতীত আন্দোলনগুলো স্ফুলিঙ্গ আকারে ছড়িয়ে সারাদেশে অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে। তাই রাজনীতিক দলগুলোর বিচক্ষণ নেতৃত্ব এখানে খুবই জরুরী। হাল সময়ে দলগুলোর নেতৃত্ব নানাভাবে বির্তকিত বিশেষ করে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)। আগাগোড়া রাজনীতিক নেতৃত্বের চেয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীরা এ দলের পদপদবী দখলে রেখেছেন। তাই ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে তাদের যোগাযোগ ও বোঝাপড়ায় বিস্তর ফারাক। এতে করে খোদ দলের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাস্তবতা। সাধারন নেতাকর্মীরা যখন সরকার দলের দমন নিপীড়নে দিশেহারা। একই সময় বিএনপির বেশিরভাগ পদবিধারী নেতারা ব্যবসায়িকসহ বিশেষ সর্ম্পকে নিজেকে জড়িয়ে রাখছেন নিরাপদে, টেনশনহীন। খোদ বিএনপিতে নয়, ২০দলীয় জোটের অন্যান্য শরীক দলের শীর্ষ নেতারাও ব্যবসায়িক সর্ম্পককে কাজে লাগিয়ে তারা ফিটফাট-ঠিকটাক। রাজনীতির এমন চালে ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বশীল সংগঠন বিএনপি নেতৃত্ব এখন সাধারন নেতাকর্মীর নিকট নির্ভরতাহীন ঠুঠু-জগন্নাথ। তাই আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির জেলা ও মহানগর বিএনপির কাউন্সিলে বাস্তবমুখী নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা তাদের। সাধারন নেতাকর্মীরা মনে করেন, বিগত দিনে বিএনপিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের প্রোপাইল ঘাঁটাঘাঁটি খুবই প্রয়োজন। কারন এ নেতৃত্ব সরকার দল বিশেষ করে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব মোকাবেলায় কতটুকু যোগ্যতা সম্পন্ন তাও বিবেচনায় নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আওয়ামীলীগের বর্তমান নেতৃত্বের সিংগভাগ অংশ রাজনীতিকদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। তারাই দল চালায়, পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করে। দল ক্ষমতার থাকার পর এ নেতৃত্ব ব্যাংক লোন, অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট-বিমা, কোম্পানী পরিচালনাসহ কোন ক্ষেত্রে তাদের দৃশ্যমান অবস্থান নেই। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র বিএনপিতে। বেশিরভাগ নেতাই ব্যস্ত ব্যবসায়িক দায় দেনা রক্ষায়। রাজনীতিক পদ পদবী বাড়তি অলংকার হিসাবে মনে করে না তারা। অলংকার দিয়ে ব্যবসায়িক খাত সমূহ নিরাপদ ও গ্রহনযোগ্যতা বজায়ের ঢাল হিসাবে চালিয়ে নেন। এমতাবস্থায় আগামী কাউন্সিলে এমন বাস্তবতার পরিবর্তন বিএনপিতে হবে কিনা তাই বিবেচ্য। একাধিক তৃণমুল নেতাকর্মীর মনে করেন, টাকা থাকলে বিএনপির পদপদবি আয়ত্বে আনা কোন ব্যাপার না। এই পদবি দখলে দিয়ে, যা হওয়ার তাই হচ্ছে সিলেট বিএনপিতে। যে কারনে আন্দোলন সংগ্রামের তেজ রাজপথে নেই। আগমীতে থাকবে কি-না, সেই বাস্তবতা আসছে কাউন্সিলেই নেতৃত্ব বাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে আসবে। দলের পদ প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে ব্যবসায়িদের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। কিন্তু নিবেদিতদের বাচাই কারা খুবই মুসকিল। কারন ধনকুবেরদের আপ্যায়ন আর তোহফায় তারা কোনঠাসা। এতে মজে যান কেন্দ্রের নীতিনির্ধারকরাও। তারপরও কোনমতে পদের লড়াইয়ে নিজদের জানান দিচ্ছেন এমন অনেকে। দলের নেতৃত্বে বাগিয়ে নেওয়ার অশুভ একটা প্রতিযোগিতা সাম্প্রতিক অতীত থেকে সিলেট বিএনপিতে চলছে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের অনেক সিনিয়র পরীক্ষিত রাজনীতিক রয়েছেন যারা, অশুভ প্রতিযোগিতার দৌড় দেখে নেতৃত্বে আসার মানসিকতা গুটিয়ে নিয়েছেন। শুধূ অশুভ প্রতিযোগিতা নয়, পদপ্রত্যাশীদের অবমূল্যায়নেও তারা কোনঠাসা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন