স্টাফ রিপোর্টার : সাঁড়াশি অভিযানের নামে সরকার সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা মনিরুজ্জামান মিঞা স্মরনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
ফখরুল বলেন, গত ৮বছরে এই অবৈধ সরকার বিএনপির উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে ধ্বংস করার ষংযন্ত করছে। কিন্তু তারা ধ্বংস করতে পারেনি এবং আদর্শ দমন করতে পারবে না। বিএনপিকে দমন করা যাবে না। তাই বলবো আগুন নিয়ে খেলবেন না। গণতন্ত্রকে গণতান্ত্রিক পন্থায় চলতে দিন। তাহলে জঙ্গি এমনিতেই দমন হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে আওয়ামী লীগ যে খেলা খেলছে তা ভয়ংকর পথ। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে জঙ্গি দমন করা যাবে না।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে সরগরম হয়ে উঠছে। বিএনপি জঙ্গি, সন্ত্রাস সমস্যার সমাধানে জাতীয় কনভেশনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু সরকার দলীয় এক নেতা বলেছেন, এখন কনভেনশন ডাকার সময় হয় নাই। আমি বলতে চাই কবে জাতীয় সম্মেলন ডাকার সময় হবে। যখন সব শেষ হয়ে যাবে তখন কনভেনশন ডাকার সুযোগ থাকবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ৭২-৭৫ সালে বিরোধী দল ধ্বংস করার জন্য সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রক্ষী বাহিনী করেছিল। এখন অত্যন্ত সুকৌশলে সংবিধান পরিবর্তন করে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, সরকার দলীয় করন করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী পন্থি শিক্ষক ছাড়া কোন শিক্ষক নেই। যারা এ পন্থির বাহিরে তাদেরকে হয় বহিষ্কার না হয় ওএসডি করে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরপেক্ষ থাকার কথা তারা ভুলে গিয়ে সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। অন্য মতবাদের লোকেরা চাকরী করতে পারছে না।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আন্দোলন করছি।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন