‘ধর্মঘটে গেলে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়। এদিকে ব্যবসায়ীদের যাওয়া ঠিক না। সাধারণ মানুষের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে, আমিও ট্রেডবডি করে এসেছি। গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে, আমি আছি, সচিব আছে, বিপিসি চেয়ারম্যান রয়েছে। যে কোনো সময় আলোচনা করতে পারেন। আন্দোলন করে মানুষকে জিম্মি করবেন কেনো। এতে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। যদি স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকতো তাহলে ভিন্ন কথা ছিলো।’- পেট্রোল পাম্প মালিকদের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেছেন।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
এই বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবি নিষ্পত্তি করতে উচ্চ পর্যায়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সমঝোতা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কোনো ধর্মঘটে যাবে না।
এ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু একটা অনুরোধ, তেলে ভেজাল দেবেন না। আপনাদের দাবি যৌক্তিক হলে বিবেচনা করা হবে। কমিটিতে আপনাদের প্রতিনিধি থাকবে। সেখানে বসে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন। ৩১ জানুয়ারির পরে বসবো। শুধু পরিবেশের দায়িত্ব আমরা নিতে পারবো না।
এদিকে কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নামে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে বিভাগে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এই সময় সমঝোতা বৈঠক করে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
বৈঠকে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম, বিপিসি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন