স্টাফ রিপোর্টার : বহু প্রত্যাশিত মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) ও বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে আজ (রোববার)। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্প দুটির কাজের উদ্বোধন করবেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প দুটির কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। মেট্রোরেলের ডিপো উত্তরা আর বিআরটি’র ডিপো এলাকা গাজীপুরে। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। অপরদিকে গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত হবে বিআরটির রুট। এর আগে গত ১৬ জুন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল ও বিআরটির নির্মাণ কাজের সূচনার মধ্য দিয়ে এ প্রকল্প দুটি নতুন গতি পাবে এবং নির্দিষ্ট সিডিউল অনুযায়ী কাজ এগিয়ে যাবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে।
২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে ৩৮ মিনিট। মেট্রোরেল প্রকল্পটি ৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্যাকেজ-১ এর (ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন) ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান কাজ শেষ হয়েছে। মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। ব্যয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পে জাইকা প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে প্রায় ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের রুট হবে সম্পূর্ণ এলিভেটেড (উপর দিয়ে)। থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে এ রুটে। মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী, রোকেয়া সরণী পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁ, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর হবে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণী, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সচিবালয় ও মতিঝিল। বিআরটি চারটি প্যাকেজের আওতায় সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে দুটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ডিপো নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১৮ এর ডিসেম্বরে বিআরটি চালু হবে বলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন