কর্পোরেট ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষে ব্রিটেনের রায় প্রকাশের পর পর ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান ৩১ বছরের নিম্নতম অবস্থানে ঠেকেছে। ৬ ঘণ্টায় ১০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে ব্রিটেনের মুদ্রাটি। সত্তরের দশকে ফ্রি ফ্লোটিং বিনিময় হার প্রবর্তনের পর পাউন্ডের এটাই গভীরতম পতন। পাউন্ডের পাশাপাশি বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেছে ব্রিটেনের সরকারি বন্ড। ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে মত দেবেন, সাম্প্রতিক একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এলে পাউন্ডের মান ২০১৬ সালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে (১ পাউন্ড = ১ ডলার ৫০ সেন্ট) উন্নীত হয়। তবে ব্রেক্সিট ইস্যুতে আয়োজিত গণভোটের ফল প্রকাশ শুরু হতে না হতেই এর পতন শুরু হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় ঐতিহাসিক গণভোটটিতে ব্রেক্সিটের পক্ষবাদীদের জয়ের কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে কমেছে পাউন্ডের মান। গণভোটের ফল প্রকাশের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও পাউন্ড চলতি বছরের সেরা বিনিময় হার উপভোগ করছিল। খুব দামি বলে যে মুদ্রাটিকে স্টারলিং নামে সমাদর করা হতো, ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের ছাড়াছাড়ির খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তা বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। গত শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান কমেছে ১৭ সেন্ট বা ১০ শতাংশ। পতনের এ হার গত তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্রিটেনে গত শতকের সত্তরের দশকে প্রথম বিনিময় হারের ফ্রি-ফ্লোটিং ব্যবস্থা চালু হয়। এর পর থেকে ব্রিটিশ মুদ্রাবাজারের ইতিহাসে আর কখনই এত বড় পতন দেখা যায়নি। এটি ১৯৯২ সালের ‘ব্ল্যাক ওয়েনসডের’ চেয়েও বড় বিপর্যয়, যখন কোটিপতি জর্জ সরোসের কুশলী পদক্ষেপের কারণে পাউন্ড এক্সচেঞ্চ রেট মেকানিজমের’ নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিটকে যায় এবং মোটা অঙ্কের অর্থ সরোসের পকেটে চলে যায়। ব্রিটিশ মুদ্রাবাজারে প্রতি পাউন্ডের মূল্য ছিল ১ ডলার ৩৩ সেন্ট, যা ১৯৮৫ সালের পর সর্বনিম্ন।
এদিন ইউরো ও জাপানি ইয়েনের বিপরীতে পাউন্ডের পতনের হার ছিল যথাক্রমে ৬ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ। পাউন্ড-ডলার বিনিময় হারের এমন অস্থিরতার কারণে ব্রিটেনে বীমা খরচ ৫৩ দশমিক ৩৭৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। ১৯৯৮ সালের পর প্রবৃদ্ধির এ হারই সর্বোচ্চ। বন্ড কেনাবেচার প্লাটফর্ম ট্রেডওয়েব অন্যদিনের চেয়ে আগে খুলেছে। লেনদেন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেনের ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ঈল্ড ১ দশমিক ৫৭ শতাংশে উন্নীত হয়। গণভোটের দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ঈল্ড ছিল ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ইউকে রেটস স্ট্র্যাটেজির প্রধান জন রাইথ বলেন, ‘এটা আস্বাভাবিক। ধাক্কা বললেও কম বলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন