বেড়েছে শীতের প্রকোপ। গত তিন দিন ধরে সিলেটে শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে। গত ৫ দিনে শুধুমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগী বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এক্ষেত্রে সতর্ক এবং সচেতন থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানারোগ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, গত ৫ দিনে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ এবং ইনডোরে রোগী ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, হঠাৎ ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মূলত বিগত ৫ দিন ধরে হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও প্রতিটি ইউনিটে রোগী বাড়ছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরাই বেশি ভর্তি হচ্ছে। যেখানে আগে প্রতিদিন প্রায় ৭০ জন রোগী ভর্তি হতেন সেখানে গত ৫ দিন যাবত প্রায় ৮৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার প্রকোপ তেমন একটা না থাকলেও শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের সার্বিক সুচিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তবে এখন শীতকাল তাই দেখা যাবে হঠাৎ ঠান্ডা বাড়ছে-কমছে। তাই এ সময় যাদের পরিবারে শিশু বাচ্চা আছে তাদের একটু সর্তক থাকতে হবে। শিশুদের যেন ঠান্ডা বাতাস না লাগে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদেরকে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে মা বাবাকে সচেতন ও সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, ঠান্ডা বাতাস ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদেরকে গরম কাপড় পড়াতে হবে। ঠান্ডা বাতাস যেন শিশুদের ফুসফুসে না ঢুকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন