ইনকিলাব ডেস্ক : গত মাস মে ছিল বিগত তিরিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মে মাস। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আবহাওয়া বলয়ে থাকা বেশিরভাগ দেশেই ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মে মাসগুলোর গড়ের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ ছিল গত মাস।
এর আগে এপ্রিল মাসও ছিল বিগত তিরিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ এপ্রিল। চলতি জুন মাসও আগের জুন মাসগুলোর তুলনায় উষ্ণভাবেই কাটছে। প্রায় গত আট মাস ধরে বৈশ্বিক উষ্ণতার এমন ধারাবাহিক রেকর্ড ভঙ্গ করা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে ২০১৬ সাল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর হিসেবে গণ্য হতে যাচ্ছে। এর আগের ২০১৫ সাল ছিল জাতিসংঘের হিসেবে সবচেয়ে উষ্ণ বছর।
জলবায়ু বিজ্ঞানী এবং জিআইএসএসের পরিচালক গ্যাভিন স্মিথ বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সাল সবচেয়ে উষ্ণ বছর হিসেবে গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।
জাতিসংঘের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বন নিঃসরণের কারণে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, সেই নিঃসরণের হার গত সাড়ে ৬ কোটি বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা গ্লোবাল ওয়ারমিং বা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মানুষের কর্মকা-কে। বিশেষ করে প্রকৃতির বিনাশ এবং কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, রেকর্ডে ৫৬ মিলিয়ন বছর আগে সমুদ্রের তলদেশে জমাট বরফ থেকে যে পরিমাণ কার্বন বায়ুম-লে নিঃসরিত হয়েছিল সেই পরিমাণ কার্বন এই শতাব্দীতেও নিঃসরিত হবে। প্রাচীন কালের সেই কার্বন নিঃসরণে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন এই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, এই শতকেও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে বন্যা, খরা এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
গবেষণার আলোকে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানের মত অবস্থা সাড়ে ৬ কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবীতে আর আসেনি। বর্তমানে জ্বালানি তেল পুড়িয়ে এবং কলকারখানা থেকে কার্বন নিঃসরণের হার বছরে ১০ বিলিয়ন টন। সূত্র: বিবিসি, আরটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন