শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গণহত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন মন্ত্রী মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

’৮৮-তে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি
চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ হাসিনার গাড়িবহর লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
২৮ বছর আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের অদূরে সংঘটিত গণহত্যা হিসেবে পরিচিত হত্যা মামলায় সাক্ষ্যদানকালে একথা বলেন তিনি। ১৯৮৮ সালের ২৪ জুন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে লালদীঘি ময়দানে জনসভায় ভাষণ দিতে আসেন। পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে একটি খোলা ট্রাকে নেতাদের নিয়ে তার গাড়িটি কোতোয়ালি মোড় পার হতেই পুলিশ নির্বিচারে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। সেখানে অন্তত ২৪ জন মারা যায়। প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা
গতকাল (রোববার) আদালতে সে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা লালদীঘি পাড়ের সমাবেশের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ট্রাকে করে রওনা দিয়েছেন। লাখ লাখ জনতার ¯্রােত। আমিও ছিলাম সেই ট্রাকে। কিছুদূর এগোনোর পর আমি সুজনের (আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদুল আলম সুজন) মোটরসাইকেলে উঠে ট্রাকের আগে আগে যাচ্ছিলাম। কোতোয়ালি মোড়ে আসার পর পাখির মতো গুলি করা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালের ঘটনা। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি মুসলিম হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা লালদীঘিতে সমাবেশ আহ্বান করেছিলাম। ন্যায়বিচার চেয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, সেদিন আমি নেত্রীর সাহস দেখেছিলাম। মাইকে তিনি বারবার বলছিলেন, মোশাররফ ভাইয়ের ওপর হাত তুলবেন না। হাত তুলবেন না। এরপর আইনজীবীরা নেত্রীকে স্কট করে আদালত ভবনে নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। ওই দিন ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। পুলিশ হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম নির্বিশেষে সবাইকে পুড়িয়ে ফেলেছিল।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গণহত্যা মামলায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ছিলেন ৩৭ নম্বর সাক্ষী। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তার জেরাও সম্পন্ন হয়েছে। আদালত ৩১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মরহুম আইনজীবী শহীদুল হুদা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের নির্দেশে সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রথম দফায় ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাকে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন