শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নববর্ষের দিনে বাংলাদেশে ৮ হাজারেরও বেশি শিশুর জন্ম হবে -ইউনিসেফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:০৬ পিএম

২০২০ সালে প্রতিটি নবজাতককে বাঁচাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণে এবং যথাযথ ওষুধ ও সরঞ্জাম দিয়ে তাদের তৈরির করার জন্য বিনিয়োগ করতে ইউনিসেফ বিশ্বনেতা ও দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, নববর্ষের দিনে বাংলাদেশে আনুমানিক ৮ হাজার ৯৩টি শিশু জন্মগ্রহণ করবে। নববর্ষের দিনে বিশ্বজুড়ে জন্মগ্রহণ করা আনুমানিক ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৮টি শিশুর মধ্যে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শিশুর জন্ম হবে বাংলাদেশে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, নতুন একটি বছর এবং নতুন একটি দশকের সূচনা কেবল আমাদের ভবিষ্যতের জন্য নয়, আমাদের পরে যারা আসবে তাদের ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের আশা ও আকাঙ্খাাগুলো প্রতিফলিত করার সুযোগ। প্রতি জানুয়ারিতে ক্যালেন্ডারের বদলে যাওয়া আমাদের প্রতিটি শিশুর জীবনের যাত্রা শুরুর বিষয়ে যদি তাদের শুধু সেই সুযোগ দেওয়া হয় সব ধরনের সম্ভাব্যতা ও সম্ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে খুব সম্ভবত ২০২০ সালের প্রথম শিশুটির জন্ম হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হবে শেষ শিশুটির জন্ম। বিশ্বব্যাপী জন্মগ্রহণ করা শিশুদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশুর জন্ম হবে আটটি দেশে। ভারতে জন্ম হবে ৬৭ হাজার ৩৮৫ শিশু, চীনে ৪৬ হাজার ২৯৯, নাইজেরিয়ায় ২৬ হাজার ৩৯, পাকিস্তান ১৬ হাজার ৭৮৭, ইন্দোনেশিয়া ১৩ হাজার ২০, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১০ হাজার ৪৫২, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ১০ হাজার ২৪৭ এবং ইথিওপিয়া ৮ হাজার ৪৯৩ জন।

প্রতি জানুয়ারিতে নববর্ষের দিনটি বিশ্বজুড়ে শিশু জন্মগ্রহণের জন্য একটি শুভ দিন, যে দিনে ইউনিসেফ শিশুদের জন্ম উদযাপন করে।

তবে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ নবজাতকের জন্য তাদের জন্মের এই দিনটি খুব একটা শুভ হয়ে দেখা দেয় না। ২০১৮ সালে ২৫ লাখ নবজাতক তাদের জীবনের প্রথম মাসেই মৃত্যুবরণ করে। এদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ তাদের জীবনের প্রথম দিনেই মারা যায়। এই শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিরোধযোগ্য কারণ যেমন অপরিপক্ক অবস্থায় জন্মগ্রহণ, প্রসবের সময় জটিলতা ও সেপসিসের মতো সংক্রমণে মারা যায়। এ ছাড়াও প্রতি বছর ২৫ লাখেরও বেশি শিশু মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে।

গত তিন দশকে বিশ্বজুড়ে শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে এবং বিশ্বজুড়ে পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করা শিশুদের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। তবে নবজাতকদের ক্ষেত্রে অগ্রগতির মাত্রা বেশ ধীর। ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের ৪৭ শতাংশই মারা গেছে তাদের জন্মের প্রথম মাসে, ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।

ইউনিসেফের এভরি চাইল্ড এলাইভ প্রচারাভিযান যথাযথ প্রশিক্ষণসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের পেছনে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানায়, যারা গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং জন্মকালীন জটিলতাগুলো প্রতিরোধে ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং প্রত্যেক মা ও শিশু যাতে একজোড়া নিরাপদ হাতের যতেœ থাকে তা নিশ্চিত করা জন্য সঠিক ওষুধ নিয়ে তৈরি থাকেন।

ফোর বলেন, অনেক বেশি সংখ্যক মা ও নবজাতক প্রশিক্ষিত এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম নিয়ে তৈরি থাকা ধাত্রী বা নার্সের যতœ পায় না এবং এর ফলাফল খুবই ভয়াবহ। যদি প্রতিটি শিশুর জন্ম এক জোড়া নিরাপদ হাতের তত্ত্বাবধানে হয় তাহলে আমরা এটা নিশ্চিত করতে পারবো যে, লাখ লাখ শিশু তাদের জন্মের প্রথম দিন বেঁচে থাকতে পারবে এবং এই দশক ও তার পরেও অনেক বছর বাঁচতে পারবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন