শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফলে দেখা দিয়েছে আগাম বন্যা। সোমবার সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার সমান্তরালে হচ্ছিল। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে ৬ সেমি। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬ সে:মিটার ও দুধকুমার নদীর পানি ৩ সে:মিটার কমেছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় প্রায় দেড় শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে অন্তত ১২ হাজার পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। বন্যায় পাট, সবজি, কলা ও আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুর ও জলাশয়ের মাছ। কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, উলিপুরের সাহেবের আলগা, হাতিয়া, চিলমারীর রানীগঞ্জ, অষ্টমীর চর, নয়ারহাটসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চর-গ্রামগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
সোমবার সকালে ধরলা নদীর ব্রিজ পয়েন্টে ২৬.৫০ সে.মি, দুধকুমার নদীর নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৬.০১ সে.মি, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২৩.৮৩ সে.মি এবং তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮.৩৮ সে.মি পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যাকবলিত পরিবারের মধ্যে ৮ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা ঈদের আগে বিতরণ করা হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনা খাবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো: নুরুল আমিন জানান, আমরা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছি। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা শুকনো খাবার কিনে রেখেছি। ত্রাণ মন্ত্রণালয় আমাকে আশ্বস্ত করেছে কোনো মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য যা সহায়তা করা দরকার আমরা তা করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন