খুলনা ব্যুরো : ভবনের গেটে তালা দিয়ে নিজেদের পছন্দের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করলো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গতকাল (সোমবার) দুপুর একটার দিকে খুলনার সরকারি সুন্দরবন কলেজ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বের করে দিয়ে এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। পরে কলেজের অধ্যক্ষ ও ভর্তি কমিটির সদস্যরা গেট খুলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে নিয়ে যান। এসব ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার একাদশ শ্রেণীতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির শেষদিন ছিল। কলেজটিতে এ বছর বাণিজ্য বিভাগে ৪০০টি, বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে ৩০০ করে আসন ছিল। দুই তালিকা থেকে গত রোববার পর্যন্ত আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান, শেষদিনে রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তির জন্য ভিড় জমায়। কলেজের একাডেমিক ভবন-২-তে ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু সকাল থেকে কোনো শিক্ষার্থীকেই ভর্তি ফরম দেয়া হয়নি। বেলা একটার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে বের করে দিয়ে একাডেমিক ভবন-২-এর গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তাদের বাঁধা দেয়ায় সনজিত নামের এক অভিভাবককে মারধর করা হয়। তাকে খুলনা ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সরেজমিন সুন্দরবন কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের ফটকে তালা ঝুলছে ভেতরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত। শিক্ষকরাও ভেতরে আটকা পড়েছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এভাবে ভর্তি কার্যক্রম চলে।
সুন্দরবন কলেজ একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক বি এম হাফিজুর রহমান জানান, শুরুতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। পরে ছাত্রদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ঠিক করেছি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অহিদুজ্জামান বলেন, সকালে ছাত্ররা একটু ঝামেলা করেছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে।
সুন্দরবন কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন জানান, আমি খুলনার বাইরে আছি। এসব ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, অনলাইনে বাইরে জোর করে ভর্তির সুযোগ নেই। তারপরও কি ঘটেছে আমি খোঁজ নিচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন