স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের রিমান্ডে থাকা মাদারীপুরের ফয়জুল্লাহ ফাহিমের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সরকারের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু। গতকাল সোমবার ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। নোটিশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংবিধানের মানবাধিকার রক্ষায় সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলার ঘটনায় ১৭ জুন ফাহিমকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায়ই ১৮ জুন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় রিমান্ডের আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন, দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন, হেফাজত আইন ও উচ্চ আদালত কর্তৃক রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত গাইড লাইন ও আদেশের পরিপন্থী। নোটিশে আরো বলা হয়েছে, লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে রিমান্ডে থাকা ফাহিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে নাকি প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের নাম আড়ালে রাখার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জাতির কাছে ব্যাখ্যা করার জন্য এবং কেন উক্ত ঘটনার প্রকৃত কারন উদঘাটনে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে না? কেন উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেয়া হবে না, তা লিখিত আকারে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হল।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন মাদারীপুরে এক কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় ফাহিমকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ডে নেওয়ার পরদিন সকালে মাদারীপুরের একটি চরে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ফাহিম নিহত হন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন