স্টাফ রিপোর্টার : পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় কালী চরণ সাহা রোডের ৩১ নং হোল্ডিং-এর সরকারি খাস জমিতে মসজিদ নির্মাণের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন পরিতোষ কুমার রায় নামের এক ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদেও গে-ারিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থিতিশীল অবস্থা জারি করেন। এসময় তিনি ওই এলাকায় ভূমি অফিসের কর্মী, গে-ারিয়া থানা পুলিশ ও কালী চরণ সাহা রোডের মসজিদ নির্মাণের উদ্যোক্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার অনুসারী মুসল্লিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বিরোধপূর্ণ জমি পরিদর্শন শেষে এখন থেকে নামাজ আদায় না করার সিদ্ধান্ত দেন তারা।
গত ২৪ জুন গে-ারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন পরিতোষ কুমার রায়। গে-ারিয়া থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর-১৩৩৮। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি অভিযোগ করেন, গে-ারিয়া থানার ৩১ নম্বর কালিচরণ সাহা রোডে একটি পূজাম-প রয়েছে। এর পাশে একটি সরকারি খাস জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ করেছেন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মর্ত্তুজা, ১৪ বছরের জেল খাটা আসামি কালা শরিফ এবং ৭ থেকে ৮টি মামলার আসামি শিপন।
জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের ওই পূজাম-পে পূজা পার্বণ হয়, প্রতিদিন ফলমূল কাটা হয়। এখানে মসজিদ হলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঢাকা জেলার পূজা কমিটির নেতার পরামর্শক্রমেই জিডি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গে-ারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি খাস জমিতে বাঁশের খুঁটি ও পলিথিন দিয়ে একটি মসজিদের মতো তৈরি করা হয়েছে। এতে জমিটি দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করা হয়। সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসে সেখানে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন