পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে ট্যাঙ্কলরি শ্রমিকদের কর্মবিরতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন শ্রমিক নেতা পুলিশের ধাওয়ায় সড়ক দুঘর্টনায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। এছাড়া সারাদেশে ১ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার রাতে নেতাকর্মীরা আলোচনা সভায় এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম আসলামের সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি মো: শফিউল্লাহ, সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: সালাউদ্দিন, তিন নম্বর দক্ষিণ সুহিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো: আলকাস ও সেলিম মুন্সী প্রমুখ। তাদের দাবি, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামানসহ কয়েকজন অসাধু সদস্যের কারণে তিন শ্রমিক নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় না আনা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান। এর আগে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতারা শোকাহত তিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। জেলা ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: হারুন মোল্লা জানান, তিন নেতার মৃত্যুতে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে সারাদেশে এক ঘণ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধা বেলা কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। গত সোমবার রাতে বাদ এশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্যাঙ্কলরি মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর খন্দকার (৪২), সাধারণ সম্পাদক আলী আজম রাজু (৪৩) ও দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান মিয়ার (৫২) নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শহরের ঘাটুরা লতিফিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক আলী আজম রাজু ও শাহজাহান মিয়া গত সোমাবার দুপুরে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ‘চাঁদাবাজি’ করার উদ্দেশ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলা এলাকায় একটি পাথরবোঝাই ট্রাককে থামার সঙ্কেত দেয়। ট্রাকটি না থামলে এক পুলিশ সদস্য তার হাতের লাঠি ছুঁড়ে মারলে লাঠিটি ট্রাকের সামনে থাকা অপর একটি মোটরসাইকেলের চাকায় আটকে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পেছন দিক থেকে ওই ট্রাকটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা তিন শ্রমিক নেতা নিহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন