জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। কাশ্মীরে বন্ধ থাকা ইন্টারনেট পরিষেবা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষের গ্রেফতারি নিয়ে চিন্তিত মার্কিন প্রশাসন। টুইট করে এমনটাই জানানো হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকা-সহ ১৬ বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ভূস্বর্গ পরিদর্শনে যান। তারপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন টুইট নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
গত ৯ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীর সফরে যান ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত-সহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধিরা। এই প্রতিনিধি দলের অধিকাংশ সদস্যই ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলির। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই সফরের অংশ হওয়ায় এর গুরুত্ব অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই সফরে অংশ নেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, অন্য কোনও নির্দিষ্ট দিনে কাশ্মীরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ইইউ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সফরের পরই টুইট করে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। টুইটে তারা লেখেন, ‘আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত-সহ অন্য দেশের প্রতিনিধিদের কাশ্মীর সফরের উপর নজর রেখেছি। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের ও সাধারণ মানুষের গৃহবন্দী দশা, ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমরা এখনও চিন্তিত। আশা করব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
৩৭০ ধারা রদ হওয়ার প্রায় পাঁচমাস পর এই সফরের আয়োজন করে কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে কেন্দ্রের ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও চীন ও পাকিস্তান ছাড়া প্রায় কোনও দেশই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে রাজি হয়নি। কিন্তু আর কোনও বিতর্ক না রেখে, এবার বিদেশের প্রতিনিধি দলকে কাশ্মীরের ‘উন্নত আইনশৃঙ্খলা’ দেখার ব্যবস্থা করে কেন্দ্র। কিন্তু তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই টুইট যে কেন্দ্র সরকারের বিড়ম্বনা বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্র: নিউজ ১৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন