সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জর্জ বুশ, বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোর গলায় সমর্থন করেছেন। প্রচারের সময় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনও বিষয়টিকে সমর্থন করে একাধিক বার বিবৃতি দিয়েছেন। তবে এখন এ বিষয়ে তারা সমর্থন দেবে কি না, সে বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু বলছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
জাতিংসঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পররাষ্ট্র বিভাগে কাজ করা লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডকে মনোনীত করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার মার্কিন সিনেটে তার মনোয়ন নিশ্চিতে বিশেষ কমিটির সামনে শুনানির সময় তিনি বলেন, ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এ বিষয়ে কোন জোরালো ভূমিকা না রাখার সম্ভাবনাই বেশি।
লিন্ডাকে জাতিসংঘে দূত পদে মনোয়ন নিশ্চিতে শুনানির সময় ওরেগনের সিনেটর জেফ মার্কলে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি মনে করেন ভারত, ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপানের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া দরকার?’ জবাবে লিন্ডা বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদের বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে ইতিবাচক যুক্তিও রয়েছে। কিন্তু আমি এটাও জানি, ওই অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এ ব্যাপারে তাদের আপত্তি জানিয়েছে এবং তাদের দাবি তাদের স্থায়ী সদস্য করা হোক। সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’
ভারত, ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপানের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি জোরদার করতে চার দেশের গড়ে তোলা জোটের পাল্টা ‘কফি ক্লাব’ জোট তৈর করেছে পাকিস্তান, মেক্সিকো, ইটালি এবং মিশর। লিন্ডা সেই প্রসঙ্গটির উল্লেখ করেছেন। বাইডেনের প্রশাসনের এই মনোভাবেই উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে ভারত।
এমনিতেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বাধা সেখানকার অন্যতম স্থায়ী সদস্য ভেটো-ক্ষমতা সম্পন্ন চীন। তারা সরাসরিই ভারতের দাবিতে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের সাথে ভারতের আর এক প্রতিবেশী পাকিস্তানেরও এ বিষয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে। একই অবস্থা জার্মানি, ব্রাজিল ও জাপানের। তাদের ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে যথাক্রমে ইটালি, মেক্সিকো এবং মিশরের। সূত্র: জি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন