স্টাফ রিপোর্টার : ২০ দলীয় জোট নেতা ও জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, এভাবে রাষ্ট্র ও সমাজ কোন কিছুই চলতে পারবে না। রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হুমকি দেবার পর এবার বৌদ্ধ বিহারের মহাঅধ্যক্ষকে হুমকি দেবার খবর এসেছে।
এসব কিসের আলমত? ঢাকার গে-ারিয়ায় আল্লাহর ঘর মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না। দখলদার লীগ সরকার চাচ্ছেটা কি? দিল্লীর ইশারায় রায়ট বাধাবার চেষ্টা করবেন না। সরকার এখন এদেশের সন্তান পুলিশ-র্যাবের উপর ভরসা পাচ্ছে না। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করে দেশে খাল কেটে কুমির আনার চেষ্টা হচ্ছে। গদিপাগল লীগ সরকারের জামানায় মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান, কেউ নিরাপদ নয়। সুতরাং আত্মরক্ষায়-দেশরক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। নতুবা বাঁশও থাকবে না, বাঁশিও বাজবে না। গতকাল পঞ্চগড়ের বকুলতলা প্রাঙ্গণে জেলা জাগপা আয়োজিত ইফতারে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, পুলিশ সুপারের স্ত্রী মিতু হত্যায় মুসা- ভোলাকে দেখিয়ে ফায়দা হবে না। সরকার ঠিকই জানে এটা ভোলার খেলা নয়, এটা শিব ঠাকুরের খেলা। সুতরাং জঙ্গি বলুন, ঘাতক বলুন- বিএনপি-জামায়াত-২০ দলের মধ্যে তালাশ করে পাওয়া যাবে না। এরা সবাই এখন সরকারের নজরদারিতে। লীগ সরকার চাইলে একদিনেই বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, জালিম শাহীর জিগরী দোস্ত ইন্ডিয়ান সেনারা সীমান্তে প্রতিদিন আমার নাগরিকদের হত্যা করছে। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা- এ কেমন দোস্তি? এ কেমন বন্ধুত্ব? ইন্ডিয়ার চানমারী হবার জন্য জাতি স্বাধীনতা সংগ্রাম করে নি। স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইলে এ হিন্দুস্থানী গণহত্যা ও করিডোর চক্রান্ত রুখতেই হবে। দেশপ্রেমিক শক্তির জানবাজ লড়াই মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি ক্লজ।
জেলা জাগপা আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুব জাগপার আহ্বায়ক শাহরিয়ার বিপ্লবের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খন্দকার লুৎফর রহমান, রকিব উদ্দীন চৌধুরী মুন্না, দেওয়ান রোকনউদ্দীন হাজারী, মফিদুল ইসলাম মফি, শেখ ফরিদউদ্দীন, সহ-সভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, নাহিদ হাসান, গুলশান আলম প্রধান, মাস্টার শামসুজ্জামান নয়ন, আতিকুল ইসলাম জুয়েল, ফিরোজ খানুন, এমদাদুল হক ভুইয়া, বোদা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, আব্দুল খালেক, নজরুল ইসলাম, উজ্জল প্রধান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন