শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতীয় ঢলে যমুনায় পানি বৃদ্ধি

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চরম দুর্ভোগে সারিয়াকান্দির পানিবন্দী হাজারো মানুষ
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : উজানের ভারতীয় পানির ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বাড়ার সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী এসব মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
দুর্ভোগকবলিত এলাকার মানুষ জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রবাহমান যমুনা নদীতে গত আট দিন পূর্ব থেকে পানির উচ্চতা হু হু করে বাড়তে থাকে।
এর ফলে উপজেলার কুতুবপুর, হাটশেরপুর, সদর, কর্ণিবাড়ী, কামালপুর ও বোহাইল ইউনিয়নের অনেক নিচু এলাকার জনবসতি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। যমুনার নদীর তীর থেকে বর্তমান নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার। আর এই বাধের পূর্ব ধারে বসবাসরত অধিকাংশ বাড়িতে ২-৩ ফুট করে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ১৬টি গ্রামের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী লোকেরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। উপজেলার নবনির্মিত বন্যা বাঁধের কুতুবপুর, বয়রাকান্দি, ঘুঘুমারি, শেখপাড়া, রৌহদহ, প্রামাণিকপাড়া, দড়িপাড়া ও ইছামারা এলাকায় ঘুরে দেখা যায় পানিবন্দী লোকজনদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র। পানির হাত থেকে রক্ষার জন্য গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য আসবাবপত্র বাঁধে এনে মাথা গোঁজার চেষ্টা করছেন। উপজেলার মথুরাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু করে কামালপুরের দড়িপাড়া পর্যন্ত নতুন ১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে কোনো জনবসতি না থাকলেও গত তিন দিনে পানিবন্দীরা সেখানে ঘনবসতি গড়ে তুলেছেন। পানিবন্দী লোকেরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গতকাল পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে পানিবন্দী লোকজনের জন্য কোনো সাহায্য-সহযোগিতার খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) আবু সাঈদ জানান, এখন বর্ষাকাল হওযায় যমুনায় পানি সাময়িক কমলেও কিছু দিন পর আবার বাড়তে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: মনিরুজ্জামান জানান, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুদান চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন