শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ৩৯তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গড় পাসের হার ৭২.২৯% স্টার মার্ক ১১২৭৭ জন
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)-এর ৩৯তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল গতকাল প্রকাশিত হয়েছে।
বেলা ১২টায় বেফাক মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বেফাক মহাসচিব আল্লামা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। এর পূর্বে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুফতি আবু ইউসুফ পরীক্ষার ফলাফলের ফাইল বেফাকের মহাসচিবের নিকট হস্তান্তর করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় পরীক্ষার ফলাফলের সকল তথ্য বেফাকের নিজস্ব ওয়েবসাইট িি.িরিভধয়নফ.ড়ৎম তে পাওয়া যাবে। সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব বলেন, কওমী মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে সফলতার নজীর স্থাপন করেছেন। এরাই যোগ্য আলেম হয়ে জাতির সামনে ইসলামের বাণী তুলে ধরবেন এবং সমাজে আদর্শ মানব গড়ায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরীক্ষার ৭টি স্তরে মোট পরীক্ষার্থী ৮৬১৭০ জন এবং মোট পাস করেছে ৬২২৯৩ জন। গড় পাসের হার ৭২.২৯%। স্টার মার্ক পেয়েছে মোট ১১২৭৭ জন। প্রথম বিভাগে পাস করেছে ১৪৬৫৩ জন ছাত্রছাত্রী। কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস তাকমিলে (¯œাতকোত্তর ডিগ্রি) পাসের হার ছাত্রদের ৭৪.০০% এবং ছাত্রীদের ৬৬.৬৫%। ফজিলত (¯œাতক) ছাত্রদের পাসের হার ৬৯.৯৭% এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৬২.৪৭%। সানাবিয়া ‘উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) ছাত্রদের পাসের হার ৬৮.৩৮% এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৫৬.৭৩%। মুতাওয়াসসিতাহ (নি¤œ মাধ্যমিক) ছাত্রদের পাসের হার ৮১.১০% ও ছাত্রীদের পাসের হার ৬৬.৮৬%। ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারি) ছাত্রদের পাসের হার ৭১.৪৬% এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৬১.৬৩%। এছাড়া তাহফিজুল কুরআন ও ‘ইলমুত তাজবিদ ওয়াল ক্বিরাআত বিভাগের পাসের হার যথাক্রমে ৮৫.৩৫% এবং ৮৬.৯৪%। ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেফাকের সহকারী মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমাদ চৌধুরী, মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বীপী, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আব্দুল জলিল ফারুকী।
৭টি স্তরের মেধা তালিকা
তাকমিল : মেধা তালিকার শীর্ষে ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলূম ঢালকানগর-এর মুহাম্মদ কামরুল হাসান। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া, জালকুড়ি-এর মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছেন ঢাকা জেলার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদের মোল্লা আব্দুল হাসীব। বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় প্রথম ঢাকা জেলার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার রাবিবা হুসাইন বুশরা। ২য় স্থান অধিকার করেছেন বগুড়া জেলার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া লিল বানাত (ফাতেমা (রা:) মহিলা মাদরাসা), চকলোকমান-এর মোছাম্মত সুমাইয়া তাছনীম ও ৩য় হয়েছেন ঢাকা জেলার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার হুমাইরা সিদ্দিকা।
ফযিলত : মেধা তালিকার শীর্ষে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, যাত্রাবাড়ী-এর মুহাম্মদ জাওয়াদ আহমাদ। ২য় ও ৩য় স্থান ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলূম ঢালকানগর-এর মুহাম্মদ আদনান এবং মুহা: ইয়াসীন। ফযিলতের বালিকা শাখায় মেধা তালিকার শীর্ষে ঢাকা জেলার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার মাহিরা। ২য় স্থান ঢাকা জেলার জামিয়া সাহাবানিয়া দারুল উলূম (বানাত শাখা), এলিফ্যান্ট রোডের জান্নাতুন নাঈম সাদিয়া এবং ৩য় ঢাকা জেলার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার ফাতেমা যয়নব।
সানাবিয়া উলইয়া : মেধা তালিকার শীর্ষে খুলনা জেলার মাদরাসা উমার বিন খাত্তাব (রা:) মুহাম্মদ নগর মাদরাসার সাইয়্যেদ আবু সাঈদ। ২য় ও ৩য় যথাক্রমে কুমিল্লা জেলার রাজাপুর জামিয়া ইসলামিয়া মোহাম্মাদিয়া, লাকসাম-এর মুহাম্মাদ কামরুল হাসান এবং ঢাকা জেলার জামিয়াতু ইব্রাহীম (আ:),মাহমূদনগর-এর মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ সিরাজ। সানাবিয়া-এর বালিকা শাখায় প্রথম ঢাকা জেলার আল মাদরাসা আল মাদানিয়া আল আরাবিয়া (মিরপুর মহিলা মাদরাসা)-এর মারইয়াম মুবাশশিরা। মেধা তালিকায় ২য় ও ৩য় যথাক্রমে বরিশাল জেলার চরমোনাই জামিয়া রশীদিয়া আহসানাবাদ মহিলা শাখার মোসাম্মাত রুকাইয়া এবং ঢাকা জেলার মাদরাসা ফাতেমাতুজ্জুহরা মহিলা মাদরাসা মোহাম্মাদপুর-এর নাঈমা হুসাইন।
মুতাওয়াসসিতাহ : মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন যৌথভাবে ৩ জন। গাজিপুর জেলার আল জামিয়াতুল উসমানিয়া দারুল উলূম সাতাইশ মাদরাসার মোজ্জাম্মেল হক, কুষ্টিয়া জেলার আশরাফুল উলূম মাদরাসা, মঙ্গলবাড়ীয়ার হাবীবুর রহমান এবং একই মাদরাসার মুহাম্মদ মুযযাম্মিলুল হক। যৌথভাবে ২য় হয়েছেন ঢাকা জেলার জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া আলী এন্ড নূর রিয়েল স্টেট, মুহাম্মাদপুর-এর খালেদ সাইফুল্লাহ এবং কুষ্টিয়া জেলার আশরাফুল উলুম মাদরাসা, মঙ্গলবাড়ীয়া-এর মুহাম্মদ ইমতিয়াজ মাহমূদ আনাস। যৌথভাবে ৩য় হয়েছেন ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, যাত্রাবাড়ী-এর মুহাম্মদ সাজ্জাদ হুসাইন এবং ঢাকা জেলার জামিয়াতু ইবরাহীম (আ:) মাহমূদনগর মাদরাসার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান। বালিকা শাখায় প্রথম ঢাকা জেলার দারুল উলূম মহিলা মাদরাসা, গোলাপবাগ-এর নাজিয়া সুলতানা। ২য় ও ৩য় ঢাকা জেলার মাদরাসা আয়েশা সিদ্দীকা (রা:) ঢালকানগর-এর নুসরাত জাহান এবং ফাতেমাতুজ্জুহরা (রা:) মুহাম্মাদপুর মাদরাসার মারিয়া তাবাসসুম।
ইবতেদাইয়্যাহ : মেধা তালিকার শীর্ষে কুমিল্লা জেলার রাজাপুর জামিয়া ইসলামিয়া মোহাম্মদিয়া মাদরাসার মুহাম্মদ মাহদী হাসান এবং ২য় একই মাদরাসার মুহাম্মদ সানাউল্লাহ। ৩য় মোমেনশাহী জেলার দারুল উলুম নিযামিয়া মধ্যবাড়েরা মাদরাসার ইফতিখার আলম হামীম। বালিকা শাখায় প্রথম মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত (মহিলা মাদরাসা) গলগন্ডা-এর নুসরাত জান্নাত জারীন। ২য় হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার হালিমা সা‘দিয়া মহিলা মাদরাসা, ভৈরবপুর-এর উম্মে কুলসুম এবং কুমিল্লা জেলার আয়েশা সিদ্দীকা মহিলা মাদরাসার সিরাজাম মুনিরা। ৩য় ঢাকা জেলার মাদরাসা আয়েশা সিদ্দীকা (রা:) ঢালকানগরের সামিয়া জান্নাত।
তাহফিজুল কুরআন : হিফজের ৪২টি ও কিরাআতের দুটি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩ জন করে) পৃথক পৃথকভাবে মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন আরো অনেকেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন