প্রশ্ন : ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি ‘দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ’ এটি একটি হাদীস। এখন অনেকে বলে এটি হাদীস নয়। বিষয়টি বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে চাই।
আরিয়ান আরাবী, গুলশান, ঢাকা।
উত্তর : একটি ভালো কথা ভালো হওয়ার জন্য সবসময়ই এটি হাদীস হওয়া জরুরী নয়। হাদীস সনদের ভিত্তিতে প্রমাণিত হতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি হাদীস নয়। তবে এ কথাটির প্রেরণা সম্পূর্ণ ইসলামী। মুসলিম জাতির দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি নাগরিকের জান মাল, নিজেদের দীন-ধর্ম, কোরআন-হাদীস, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি রক্ষার তাগিদ সম্পর্কে আয়াত ও হাদীসের কি কোনো অভাব আছে? দেশপ্রেম কি এর মধ্যে পড়ে না? অসংখ্য আয়াত ও হাদীস আছে জিহাদের পক্ষে, দেশ রক্ষার পক্ষে, জনগণের জানমাল, ঈমান ও ইজ্জত রক্ষার পক্ষে। এসবই ঈমানের অঙ্গ। আলাদাভাবে এ কথাটির হাদীস হওয়া না হওয়ায় কোনো পার্র্থক্য হয় না। অন্য এক ব্যাখ্যায় দেশপ্রেম বলতে বোঝানো হয় ঈামনদারের স্থায়ী দেশ অর্থাৎ জান্নাত। মানে জান্নাতকে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। এ বিষয়ে থানভী রহ. এর একটি কিতাব আছে নাম ‘শাওকে ওয়াতান’।
প্রশ্ন : কারও গচ্ছিত অর্থ ফেরত দেওয়ার আগেই ব্যক্তিটির মৃত্যু হল। দুনিয়াতে তার কোনো ওয়ারিশ নাই, তাহলে এ সম্পদ এখন কি করবো?
বেলাল আহমদ, বরিশাল।
উত্তর : স্মরণ করে দেখবেন, আমানতকারী (যিনি গচ্ছিত রেখেছিলেন) এ বিষয়ে কোনো ওসিয়ত করেছিল কি না। যদি না করে থাকে, তাহলে আপনার শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে যে, তার কোনো ওয়ারিশ নেই। ওয়রিশের বহু ধাপ রয়েছে। পুত্র, কন্যা, স্ত্রী, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, চাচা, ফুফু ইত্যাদি কেউই যদি না থাকে তাহলে এ সম্পত্তির প্রাপক ইসলামী শরীয়তি সরকার। এমন ব্যবস্থা যেহেতু বর্তমান মুসলিম সমাজ চালু করতে পারছেনা, অতএব এসব কোনো সওয়াবের কাজে লাগাতে হবে। যার সম্পূর্ণ নেকী ওই মৃত আমানতকারী ব্যক্তি প্রাপ্ত হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন