অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আগামী প্রজন্মের অনুকরনীয় আদর্শ, এ আদর্শকে তাদের কাছে রেখে যেতে চাই। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না। এটি অত্যন্ত শ্বাশত সত্য, এই শ্বাশত সত্যিটিকে মানুষের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব।
তাই জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। জাতির জনকের আদর্শকে আবার নতুন করে এলাকার মানুষের সামনে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছেন, তার নির্দেশে যুদ্ধ করেছেন, তাদের জন্য এক ধরণের অনুপ্রেরনার চিত্র তুলে ধরা। অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে আহত হয়ে এখনো আমাদের মাঝে আছেন, তাদেরকেও একত্র করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। গতকাল অর্থমন্ত্রী কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ মেলা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তপা কামাল বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন, তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু এক রকম। এখনকার আমাদের যে তরুণ সমাজ, তারা বঙ্গবন্ধুকে দেখে নাই। এমনকি মুক্তিযুদ্ধও করার সুযোগ পায় নাই, তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। যারা বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে দেখেনি, তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমি লক্ষ্য করলাম যে, কোনো একটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করলে সবাইকে সম্পৃক্ত করা যায়। সবাইকে সম্পৃক্ত করা না গেলে, আমাদের সমস্ত আয়োজন, সমস্ত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আমি এই এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এখানে দশ লাখ লোকের বসবাস। আমার ভোটারের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। এখানে একটা বিরাট জনগোষ্ঠী। আমি লক্ষ্য করলাম, আমি যদি এটি শুরু করতে পারি, তাহলে অন্যান্যরাও এগিয়ে আসবেন, এভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বঙ্গবন্ধুকে মানুষের কাছে তুলে ধরবেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ওয়ান টু ওয়ান গিয়েছি। তাদেরকে এই আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি এবং সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। এটিই আমাদের সফলতা। মানুষকে সম্পৃক্ত করে, তাদের সামনে একটি আদর্শকে উপস্থাপন করা, আদর্শটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই জাতীয় চেতনায় যারা বিশ্বাস করে না, তাদেরকে বিশ্বাসী করার জন্য এবং এই আদর্শকে আগামী প্রজন্মের কাছে, আমাদের তরুণ সমাজসহ আগামী প্রজন্মের কাছে, যারা এই পৃথিবীতে আসে নাই, তাদের কাছেও আমরা রেখে যেতে চাই। আজকের এই দিনটি হবে একটি সেতুবন্ধন। আমাদের আজ এবং আগামীর মাঝে সেতুবন্ধনটি সফল হোক আপনারা দোয়া করবেন।
এ সময় মাননীয় অর্থমন্ত্রীর মেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল বলেন, আমাদের স্বার্থকতা হচ্ছে কুমিল্লা-১০ আসনের সবাই একত্র হয়ে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় কাজ করেছি। তিনি বলেন, অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে এই অনুষ্ঠানটির পার্থক্য একটাই, সেটি হলো বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন। এই অনুষ্ঠান এর আগে কখনো আমাদের জীবনে আসেনি হয়নি, কখনো আসবেও না। বাঙালি জাতি হিসেবে এটি আমাদের সব চেয়ে সৌভাগ্য। মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে কুমিল্লার লালমাই উপজেলা মাঠে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। এতে মুজিব বর্ষ ভিক্টোরিয়ানস ক্রিকেট টি-২০ টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ। পরে এক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দেশবরেণ্য শিল্পীরা সঙ্গিত পরিবেশন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন