শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতকে খুশি করতে নামমাত্র মূল্যে ট্রানজিট আর দেশের মানুষের কাঁধে করের বোঝা- রিজভী

প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দাদারা কাজের আগে মূলো আর পরে বুড়ো আঙ্গুল দেখাবে
স্টাফ রিপোর্টার : নাম মাত্র মূল্যে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতকে খুশি করতে ১৯২ টাকায় ট্রানজিটের নামে করিডোর দেয়া হয়েছে আর দেশের মানুষের ওপর সর্বক্ষেত্রেই চাপানো হয়েছে করের বোঝা।
তিনি বলেন, আসলে ভারতীয় দাদারা প্রথমে আম-মূলোর লোভ দেখাবে, আর কাজ ওয়াসিল হয়ে গেলে বুড়ো আঙ্গুল দেখাবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ঈদের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশব্যাপী চাঁদাবাজিতে নেমেছে দাবি করে রিজভী বলেছেন, ঈদের আগে চারিদিকে আতঙ্ক আরো বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে দিয়ে শাসকদলের ক্যাডাররা দেশব্যাপী সীমাহীন চাঁদাবাজি শুরু করেছে। অফিস, আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্রই আওয়ামী ক্যাডারদের অব্যাহত চাঁদাবাজিতে দেশবাসী অতিষ্ঠ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সারা দেশ ঈদুল ফিতরের আগে মানুষের মনে উৎসবের আনন্দ নেই। সুজলা সুফলা বাংলাদেশ এখন আতঙ্ক ও মৃত্যুর দেশে এবং সিরিয়াল কিলিং, হাতকড়া অবস্থায় রিমান্ডে হত্যার দেশে পরিণত হয়েছে। দেশ আজ ব্যাপক গ্রেফতার, আটক অবস্থায় অমানুষিক নির্যাতন, নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করে টাকা আদায় আর মৃত্যুদ-ের দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, একদিকে অসংখ্য চিহ্নিত হত্যাকারী ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ার কারণে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা লাভ করছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের লোকদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে ঢোকানো হচ্ছে। হায় কী সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ! এভাবে দেশে আইনের দুইরকম প্রয়োগ চলছে।
সীমান্তে মানুষ হত্যা এবং ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে সরকার কোনো কথা না বলায় এর সমালোচনা করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জবাবদিহিতা নেই বলেই বিএনপির মিছিল দেখলেই করা হয় গুলি, আর সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশিদের হত্যার বিরুদ্ধে আমাদের সীমান্ত রক্ষীরা একটা গুলিও ছুঁড়াতে পারেন না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন সাঁইত্রিশটি নদীর পানি ভারতের শুকনো অঞ্চলে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ শুরু হলেও সরকারের মুখ থেকে প্রতিবাদের একটি শব্দও বের হয় না।
রিজভী আহমেদ বলেন, কেবল ভারত ও আনন্দবাজার পত্রিকা ছাড়া ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর দেশ- বিদেশে বর্তমান সরকারের কোনো সমর্থন নেই। কিন্তু জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ বারবার বাংলাদেশে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে।
দেশের জনগণ অবৈধ সরকারের’ দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দাবি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ভারতের সমর্থন পাওয়ার জন্য তাদের কাছে দেশকে ক্রমান্বয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিতে একের পর এক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে দুঃশাসনের রথচক্র অব্যাহত গতিতে চালানোর জন্য একমাত্র ভারতের সাথেই ‘প্যাকেজ প্রোগ্রাম’ই হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের টিকে থাকার নিশ্চয়তা।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন