শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

বাংলাদেশীদের টাকা জমার প্রবণতা

প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:২৬ পিএম, ২ জুলাই, ২০১৬

কর্পোরেট রিপোর্ট : অন্যান্য দেশ থেকে অর্থ জমার হার কমলেও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৫ সাল শেষে বাংলাদেশের নামে রয়েছে ৫৫ কোটি ৮ লাখ ফ্রাঁ(সুইস মুদ্রা), যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে এর সবই পাচার করা অর্থ নয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা হয়। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৫ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এসব ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন দেশভিত্তিক অর্থ জমার তথ্য রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেরও সুইস ব্যাংকগুলোতে অর্থ জমার পরিমাণ কমেছে। অবশ্য পাকিস্তানের বেড়েছে। ভারতের যেখানে ৩৩ শতাংশ কমেছে সেখানে বাংলাদেশ থেকে অর্থ জমার পরিমাণ বেড়েছে ৯ শতাংশ। গ্রাহকের তথ্য গোপন রাখার কারণে সুইস ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার নিরাপদ জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে সা¤প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক নানা চাপের মুখে সুইজারল্যান্ড কিছুটা নমনীয় হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণসহ কোনো দেশ তথ্য চাইলে ক্ষেত্রবিশেষ দেশটি সহায়তা করছে। ফলে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা রাখার বৈশ্বিক প্রবণতা কমেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৪০৬ কোটি (৮০ টাকায় এক ফ্রাঁ) টাকা। গত ১০ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ । ২০১৪ সালে বাংলাদেশের নামে ছিল ৫০ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ (৪০৪৮ কোটি টাকা), যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা এখনকার বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। ২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডের বাইরে অর্থাৎ সারাবিশ্ব থেকে সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি ফ্রাঁ। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি ফ্রাঁ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন