মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীন ও ভিয়েতনামের বাঁধায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ নিরাপত্তা পরিষদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৩ পিএম

রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত গণহত্যা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া আদেশ নিয়ে আলোচনা করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হলেও কোনও বিবৃতি দেওয়ায় সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনৈতিকদের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মিয়ানমারের মিত্র চীন ও ভিয়েতনাম বিবৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করে।

গত ২৩ জানুয়ারি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারালয় আইসিজে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চারটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করে। এগুলো হলো- ০১. রোহিঙ্গাদের হত্যা, মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন ও ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে না। ০২. গণহত্যার আলামত নষ্ট করা যাবে না। ০৩. গণহত্যা কিংবা গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ। ০৪. সেখানে পরিস্থিতি উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে চারমাসের মধ্যে আদালতে মিয়ানমারকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হবে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই আদেশ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে আহ্বান জানায়। তবে গণহত্যার হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার।

মঙ্গলবার আলোচনার পর নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলো যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে মিয়ানমারকে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনে এটা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইনের পাশাপাশি কাচিন ও শান প্রদেশের সংঘাতের মূল অনুসন্ধান করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মানবাধিকার ও মানবিক আইন ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে’।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা রাখাইনে হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি অন্তর্র্বতী আদেশ দেয় মিয়ানমার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammed Kowaj Ali khan ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৪ পিএম says : 0
চিন, ভিয়েতনাম, বারমা, ভারত, ওদেরকে জুতা পেটা করিলাম। ওরা জানোয়ার, ওরা মানবতার শত্রু। ওরা ধংস হইবে। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
চৌধুরী চট্টগ্রাম ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১৬ পিএম says : 0
যেদিন চিন বার্মা চুক্তি হয়েছে তার পর এই চিন এর উপর আল্লাহর গজব শুরু হয়েছে। ওরা বিরোধিতা করবে সেই টা আল্লাহ পাক বলেছেন সুতরাং অপেক্ষা করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন