শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘ব্যাংকে সরকারের নীট ঋণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা’

সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৬ এএম

সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের গত দশ বছরে (২০০৯-২০১৯) বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলী ব্যাংক থেকে মোট ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে এবং ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। এখনো ব্যাংকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা (১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি) নীট ঋণ রয়েছে। গতকাল স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
অপর এক সদস্যের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থায়নে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি (এমএলটি) ঋণ হিসাবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সঙ্গে ৩১২০ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলার সমতুল্য ২৬২১ দশমিক ৫৯ কোটি টাকার ৩৪টি ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯২০ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য ২৪৫৩ দশমিক ৩৫ কোটি টাকার ঋণচুক্তি এবং ২০০ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য ১৬৮ দশমিক ২৪ কোটি টাকার ২০টি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সংসদে দেয়া অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এডিবি, আইডিএ, ডিএএনআইডিএ, আইওএম, এফএও, ইউএনডিপি, ইউএনইপি, আইএফএডি, ডেনমার্ক, এএফডি, ইইউ, কেএফডব্লিউ, চীন ও এআইআইবিবির সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৭২টি দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সঙ্গে সমঝোতা স্মাক্ষর করেছে।
সংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশে বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৬ জন। যদিও দেশে ই-টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) ডাটাবেজে ৪৬ লাখ করদাতার তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী জানান, গত বছর ৬৪টি জেলা এবং ১০৩টি উপজেলায় আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জন সেবা গ্রহণ করে।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাজেটে বৈদেশিক ঋণ/আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৪৪৭ মিলিয়ন ডলার সমতুল্য ৭১ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক ঋণ/আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ২ হাজার ৭১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য ২৩ হাজার ২৩ কোটি টাকা।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বর্তমানে শেয়ার বাজারে কিছু তারল্য সঙ্কট থাকলেও ব্যাংকিং খাতে কোন তারল্য সঙ্কট নেই। বর্তমান বিরাজমান তারল্য সঙ্কট কাটিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গত জানুয়ারি তাঁর কার্যালয়ে একটি সভা করেন। সরকার মনে করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য একটি গতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজারের উপস্থিতি অপরিহার্য। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য যে ধরণের সাহায্য প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ওই সভায় পুঁজিবাজারকে বিকশিত করা এবং বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতিপয় স্বল্প-মেয়াদী কর্মসূচির বিষয়ে সভার আলোচনা করা হয়। স্বল্প মেয়াদি বেশ কিছু বিষয় অচিরেই কিভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে তার উপর মতামত প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার বিষয়টি পর্যালোচনা করা; ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাসমূহ সনাক্ত করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মর্মে তাঁর আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদহার কার্যকর করা হলে ব্যাংকগুলো উক্ত খাতে ঋণ/বিনিয়োগ ইচ্ছাকৃতভাবে হ্রাস করে অন্যান্য খাতে অধিক সুদহারে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদানে আগ্রহী হতে পড়তে পারে। ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যতিরেকে অন্যান্য সকল খাতে ঋণ/বিনিয়োগের সুদহার শতকরা ৯ ভাগ এ নির্ধারণ করে আগামী ১ এপ্রিল হতে কার্যকর করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমার বাধ্যবাধকতা তৈরিতে বিলটি (আইন) কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে বা অশুভ কার্যসম্পাদনে পাস করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতেই এ বিল পাস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা অশুভ কার্যসম্পাদনের জন্য বিলটি পাস করিনি। আমরা করেছি সততা নিয়ে, সেটি হচ্ছে একটি ফিনান্সিয়াল ডিসিপ্লিনের জন্য। টাকা দেবার সময় সরকার দেবে আর খরচ করার সময় আমি নিজে- এটা হওয়া উচিত নয়। সরকারকে অবহিত করে সে কাজ করতে হবে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সেজন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই যা সরকার থেকে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা নিজেরা নিজেদের ম্যানেজমেন্ট করে তবে তাদের জবাবদিহিতা দরকার। আইনটি যথাযথভাবে করা হয়েছে এবং এটি অর্থনীতিতে ডেফিনেটলি অর্থবহ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় সংসদে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা না করলেও পারতেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন, আমাদের ঘাটতি রয়েছে রফতানি বাণিজ্য, ৫ শতাংশের মতো। নেগিটিভ গ্রোথ রয়েছে। বছর শেষে তা থাকবে না। বর্তমানে পৃথিবীতে একটি দেশও নেই যেখানে নেগেটিভ গ্রোথ নেই। সামষ্টিক অর্থনীতি ওভারঅল খারাপ নয়।
টাকাটা নিয়ে ভয়টা কেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, হয়ত তারা বুঝতে পারেনি, আমি দেখলাম যে সংসদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ঠিক ছিল তারা মনের আনন্দে কেউ কেউ বলছে আরও যেসব প্রতিষ্ঠান এ আইনের বাইরে রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতায় আনতে হবে। কিন্তু পরে আবার তারাই বিরোধিতা শুরু করলো।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার ২৫ শতাংশ নিলে বাকি ৭৫ শতাংশ তো তাদের থাকবে। অতিরিক্ত টাকা রেভিনিউ ক্যাপিটাল খরচ বাদ দিয়ে ২৫ শতাংশ রেখে ব্যালেন্সটা রেখে দেবে। এটা হলো একটা জবাবদিহিতার ব্যাপার। তিনি বলেন, টাকার জন্য নয়, টাকার চেয়ে বড় হল আবারও বলি ফিন্যনশিয়াল ডিসিপ্লিন।
প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকে টাকা রেখেছে, সেই টাকা ট্রেজারিতে নিলে তারল্য সংকট হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকে সারপ্লাস ফান্ড অনেক বেশি, এটি থাকলেও লস। যে পরিমাণ টাকা থাকা উচিত সে পরিমাণ থাকা ভালো। ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ করতে পারে এটি নিয়ম আছে। আমি আবারও বলবো বিষয়টি হচ্ছে আর্থিক শৃঙ্খলা এখাতে নিয়ে আসা, এছাড়া বাইরে কোনো উদ্দেশ্য নেই। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর কাছে সর্বশেষ তথ্য মতে এক লাখ ১৬ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা অলস টাকা বা সারপ্লাস মানি আছে।
সরকার কত টাকা ট্রেজারিতে নিতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, হিসাব করিনি, প্রতিদিন পরিবর্তন হয়ে থাকে। তারা জাননোর পর সরকারি কোষাগারে জমা দেবে। সরকার এই টাকা ট্রেজারি বা ব্যাংকে কোথায় রাখবে তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্বশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ কোষাগারে নিতে বিল পাস হয়। যদিও জাতীয় পার্টি-বিএনপি সদস্যরা এ বিলের বিপক্ষে ভোট দেয়।
এছাড়া গতকাল সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশে ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) ‘বিডিবিএল ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের বার্ষিক কার্যক্রম প্রণয়ন সম্মেলন ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের অর্থনীতির খারাপ সময় যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ব্যাংকার স্বীকৃত বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন অর্থনীতির একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেই। কোনো দেশেই আমদানি-রফতানি সঠিকভাবে হচ্ছে না। আমদানি রফতানি কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কিছু সেক্টরে এর প্রভাব পড়েছে। তবে আমি আশা করি বছর শেষে এই সেক্টরগুলোর আর পিছিয়ে থাকবে না। আমদানি-রফতানির অবস্থা ভালো হয়ে যাবে।
ব্যাংক খাতের অবস্থাও খুব ভালো নয় ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো যদি ভালো চলতো, তবে ব্যাংকগুলোকে মার্জ করতে হতো না। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১৯৯৭ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির অবস্থা খারাপ ছিল। এরপর ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টিতার কারণে এখন অবস্থান থেকে উত্তোলন হয়েছে। দেশের অর্থনীতির ভিত গড়ে উঠেছে। আর এ কারণেই গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারাবিশ্বে রোল মডেল হয়েছে। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এ কারণে সংসদে আমাকে গালি শুনতে হচ্ছে। আপনারা বলেন, এটা কি আমার জন্য হয়েছে? আপনাদের জন্য না? কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, আমি আশা করবো, আমার জন্য নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আপনার সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করবেন। দেশটাকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবেন।
বিডিবিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মধ্যে সবাই খারাপ রয়েছেন তা বলবো না। কিছু সংখ্যক লোক রয়েছে যারা খারাপ। বাংলাদেশ ব্যাংক, কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে, নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। শাস্তি দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ক্লাসিফাইড লোন (খেলাপি ঋণ) আপনারা কমিয়ে এনেছেন। ৫০ শতাংশ থেকে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের রিপোর্ট অনুসারে ৩৮ শতাংশে এসেছে। এটা আরও কমাতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ঝুঁকির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। মূলধন সংরক্ষণ হার ও আমানত বাড়াতে হবে।
দেশের অর্থনীতিতে এখন প্রাইভেট সেক্টরের প্রবৃদ্ধি কমেছে। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ আর টার্গেট ছিল ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। সেটা হচ্ছে না। এ বিষয়টা অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিডিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও কাজী আলমগীরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেসবাহউদ্দিন এবং পরিচলক কাজী তরিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলন।#

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Kazisarwarul Islam ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
উনিশ হাজার কোটি থেকে দুই লাখ কোটি???
Total Reply(0)
এসএ সোহেল রানা ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
লুটপাটের উন্নয়ন যে জাতির সবনাশ নিয়ে আসবে তা অজানা নয়।।
Total Reply(0)
Aslam Uddin ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
তা হলে তো দেশ এখন মিশকিন।
Total Reply(0)
Hannan Kabir ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
আহা ! কি চমৎকার উন্নয়ন ।
Total Reply(0)
MD Nazim ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
নাতি পুতির জন্য কিছু রেখে যান,,,তাদের কোপালে কিছু থাকবে না,রিনের বোঝা নিয়ে মরতে হবে আমাদের
Total Reply(0)
Sohel Mahmud ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:০৯ এএম says : 0
আহা ! কি চমৎকার উন্নয়ন । এখন আমাদের কি রিনের বোঝা নিয়ে মরতে হবে ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন