ঝাঁকবদ্ধ পতঙ্গ পঙ্গপালের তীব্র আক্রমণে বিপাকে পড়েছে বহু দেশ। এই পতঙ্গের আক্রমণে পাকিস্তান ছাড়াও আফ্রিকার দেশ সোমালিয়াতেও সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। জাতিসংঘের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পঙ্গপালের ১০ লাখ পতঙ্গের একটি ঝাঁক একদিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার খেয়ে ফেলতে পারে। ফলে ইথিওপিয়া, কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকায় এর ফলে তৈরি হতে পারে মানবিক সংকট।
ঝাঁকে ঝাঁকে পতঙ্গ। দেখে ভয়াবহ না মনে হলেও এর আক্রমণে পাকিস্তান ছাড়াও আফ্রিকার দেশ সোমালিয়াতেও ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ইথিওপিয়া, কেনিয়াসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ছাড়াও ভারত ও সউদী আরব পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পতঙ্গটির আক্রমণ দেশটির কৃষি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ১৯৯৩ সালে এর আক্রমণে পাকিস্তানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোটি রুপি মূল্যের ফসল ও গাছপালা।
জাতিসংঘের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জিবুতি ও ইরিত্রিয়ায় ৩৬ হাজার কোটি পতঙ্গের আক্রমণে খাদ্য নিরাপত্তায় ভয়াবহ হুমকি তৈরি হয়েছে। পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রনে কীটনাশক ব্যবহারের প্রচলন থাকলেও আফ্রিকায় পঙ্গপাল দমনে শুধু কীটনাশক ব্যবহারে ফল মিলবে না বলে মনে করছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭ কোটি ডলার অনুদান চেয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে পঙ্গপালের আক্রমণে সৃষ্ট এই পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। জাতিসংঘের পঙ্গপাল পূর্বাভাস বিষয়ক এক কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় থেকেই এই পতঙ্গের আগমন ঘটে। গেল ১০ বছরে ভারত সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে এই পতঙ্গের আক্রমণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন