ফের রক্তাক্ত আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। গতকাল রবিবার দেশটির আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য গালমুদুগের এক শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাবের হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল রোববার দেশটির আধা-স্বায়ত্তশাসিত গ্যালমুডাগ প্রদেশে গাড়ি বোমা হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গ্যালমুডাগের সেনা কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ আওয়াল রয়টার্সকে বলেছেন, সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলের গ্যালমুডাগ প্রদেশের উইসিল শহরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গাড়ি বোমা ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। পরে দেশটির সরকারি বাহিনী এবং স্থানীয় সশস্ত্র বাসিন্দাদের সঙ্গে আল-শাবাবের জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়।
তিনি বলেন, ঘাঁটিতে হামলায় আল-শাবাবের সদস্যরা দুটি গাড়ি বোমা ব্যবহার করেছে। পরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ হয়।
দেশটির সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, গাড়ি বোমা হামলায় সেনাবাহিনীর যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিলেন এবং তারা ঘাঁটিতে ফিরে আল-শাবাবের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
মেজর মোহাম্মদ আওয়াল বলেন, সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন সৈন্য এবং ১৩ জন বেসামরিক রয়েছেন।
সোমালিয়ার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশটিতে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী আল-শাবাব। সোমালিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী। আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে আসছে।
সোমালিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সোননায় প্রকাশিত সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমালিয়া সরকার আল-শাবাবের এই হামলার নিন্দা জানায়। সশস্ত্র স্থানীয় বাসিন্দা এবং সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে আল-শাবাবের ৪১ যোদ্ধা মারা গেছে। আহতদের উদ্ধারের পর বিমানে করে রাজধানী মোগাদিসুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে হামলার পরেই নিজেদের পরিচালিত রেডিও আল-আনদালুসে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব। সংগঠনটি দাবি করেছে, রবিবারের লড়াইয়ে সোমালিয়ার সরকারি বাহিনীর অন্তত ৩০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন