শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬০০ জন

সার্সকে টপকে নতুন রেকর্ড করোনার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

বিশ্বজুড়ে ২০০২-২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। গত শনিবার সেই রেকর্ড ভেঙেছে করোনাভাইরাস। গত শুক্রবার যেখানে একদিনে চীনে মোট ৮৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার সেই সংখ্যা আরও তিনটি বেড়ে ৮৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে গত শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১১ জন। অপরদিকে গতকালই প্রথম এই রোগে সুস্থ ঘোষণা করে ৬০০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার সকালে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোটা চীনে করোনাভাইরাস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে ক্রমশ ৪০ হাজারে দিকে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা বিশ্বের সব চেয়ে বড় মহামারির আকার ধারণ করতে চলেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (হু) পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে হু উল্লেখ করেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমে (সার্স) আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০০২-২০০৩ সালে সার্সভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। আর ওই সময় সার্সভাইরাস বিশ্বের ২৪ দেশে ছড়িয়েছিল।

সেখানে মাত্র তিন মাসেরও কম ব্যবধানে শুধুমাত্র চীনেই করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ২০০ জন।
অপরদিকে গতকাল চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরও ৮৯ জন মানুষ এই মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে ৮১ জনই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। অপর দু’জন মারা গেছেন হেনান প্রদেশে। এ ছাড়া চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছে আরও দুজন।
এদিকে গতকালই প্রথম এই রোগে সুস্থ ঘোষণা করে ৬০০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে চীন করোনাভাইরাস রোগের চিকিৎসা শুরু করেছে। এর ফলে ওই লোকজন সুস্থ হয়েছেন।

করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এবং ভ্যাকসিন নেই। মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক যাদের আগে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা ছিল।
স¤প্রতি ছড়িয়ে পড়া এই রোগের লক্ষণ হলো- শুকনো কাশির পর জ্বর আসে। সপ্তাহখানেক পর শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যায়। এরপর আক্রান্তদের মধ্যে কিছু লোককে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রতি চারজনের একজনের অবস্থা খুবই খারাপ হয়। সূত্র : এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন