স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চাশ ও ষাট দশকের ছাত্র নেতা দেশের খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা শফি বিক্রমপুরীর আজ ৭৪তম জন্মদিন। ১৯৪৩ ইং সনের এই দিনে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার সেলামতি গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে পিতা-মাতার সাথে তিনি ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। ঢাকা গর্ভনমেন্ট মুসলিম হাইস্কুল থেকে মেট্রিক এবং তদানিন্তন কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) থেকে তিনি বিকম পাস করেন। তিনি ‘ঢাকায় ৫০ বছর’ নামে একটি বই লিখেছেন। বইটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে। তার নতুন গ্রন্থ রাজনীতির ৬০ বছর প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
শফি বিক্রমপুরী ১৯৭৯ সালে নিজ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখেন। এরপর ওই বছরই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। কিশোরকাল থেকে রাজনীতির প্রতি প্রবল আগ্রহী ছিলেন শফি বিক্রমপুরী। ঢাকার বিভিন্ন মাঠে ময়দানে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে তিনি স্কুলে পড়ার সময়েই অংশ নিতেন। পল্টন ময়দান, গেন্ডারিয়া ধূপখোলা মাঠ, আরমানিটোলা ময়দান, ভিক্টোরিয়া পার্ক, আইজি গেট ময়দান, রেসকোর্স ময়দান এসব স্থানে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ দেশী-বিদেশী অনেক নেতৃবৃন্দের সভা-সমাবেশে যোগদান করতে তিনি কিশোর বয়সেই ছুটে যেতেন। একজন নির্লোভ, নিঃস্বার্থ ও নীতিবান রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি এখন দলের নেতাকর্মী এবং এলাকার জনগণের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব শফি বিক্রমপুরী ৬০ দশকে চলচ্চিত্রে সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৫ সালে লোককাহিনী নির্ভর ছবি গুনাইবিবি এবং পরবর্তীতে আরও অনেক ছবিতে অর্থ বিনিয়োগ করেন। ১৯৭২ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচিত চলচ্চিত্র অরুনোদয়ের অগ্নিসাক্ষী পরিবেশনার মাধ্যমে নতুনভাবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধের ছবি কলমিলতাসহ আরও অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র তিনি উপহার দিয়েছেন। তার হাত ধরে এদেশের চলচ্চিত্রে অনেক খ্যাতিমান তারকা শিল্পী চলচ্চিত্রে এসেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন