শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সাগরে লঘুচাপ : বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে সারাদেশে মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) সক্রিয় হওয়ায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন ও ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তর দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা হচ্ছে, বজ্রমেঘ যা প্রতিনিয়ত ছোটাছুটি করছে। তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত মানে হলোÑবন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সমর্য় বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় রোববার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে সতর্কবাণীতে।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
জুলাই মাসের শুরুতে দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে, সেখানে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার।
জুন মাসের ১৭ তারিখে বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বিস্তার লাভ করে। তবে তা কম সক্রিয় ছিল। কাগজ-কলমের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস বর্ষা ঋতু। জুন মাসের ১৫ তারিখে শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস।
জুনে কম বৃষ্টি, জুলাইয়ে হবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
অপরদিকে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় সদ্য শেষ হওয়া জুন মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টি হবে জানিয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে কমপেক্ষ ১ থেকে ২টি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
জুলাই মাসে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে স্বাভাবিক বন্যা হতে পারে বলেও জানিয়েছে কমিটি। জুন মাসের বৃষ্টির বিষয়ে কমিটি প্রতিবেদনে জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, কিন্তু এর একটিও নিম্নচাপে পরিণত হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন