কূটনৈতিক সংবাদদাতা
গুলশানে স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিজ দেশের নাগরিক নিহত হওয়ায় শোকে কাতর-ইতালি ও জাপান। নিহত এ দুই দেশের নাগরিকদের পরিবারে চলছে শোক মাতম। তাদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন সেদেশের সাধারণ মানুষও। নিহতদের স্মরণে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। বিশেষ প্রার্থণায় অংশ নেন পোপ ফ্রান্সিস।
গুলশানে জঙ্গিদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক চলছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সাথে শোকাহত ইতালি, জাপান আর ভারতও। কারণ স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিসান বেকারিতে থাকা এই তিন দেশেরই নাগরিক নিহত হয়েছেন বর্বর ওই হামলায়।
নিহতদের স্মরণে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অর্ধনমিত রাখা হয়েছে দেশটির জাতীয় পতাকা। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ক্যামপি-ডোগলিও প্যালেসের সামনে ফুটিয়ে তোলা হয়, ইতালির জাতীয় পতাকা।
জাপানের সরকারি সাহায্য সংস্থার প্রধান ঢাকায় জিম্মি আটক ঘটনায় সাতজন জাপানি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সি জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনইচি কিতাওকা গতকাল সকালে টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নিহত সাতজন ঢাকার নগরপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। জাইকার পরিচালিত একটি প্রকল্পে পরামর্শকের দায়িত্বে তাঁরা নিয়োজিত ছিলেন।
মি. কিতাওকা বলেছেন, স্থানীয় জাইকা কার্যালয় কর্মচারীদের নিরাপত্তার কারণে রাতে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে। তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে এজেন্সির পরামর্শকদের হয়তো বিস্তৃতভাবে সবকিছু জানানো হয়নি। মি: কিতাওকা উল্লেখ করেন যে জাইকার কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখনও বাংলাদেশে অবস্থানরত কর্মচারী ও পরামর্শকদের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে হয়তো দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কিংবা বাড়ির বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হবে।
জাইকা জানায়, গুলশানে নিহত জাপানি নাগরিকরা তাদের পরামর্শক হিসেবে ঢাকায় কাজ করতেন। তাদের একজনের নাম মাকাতো ওকামুরা। তার বাবা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, এ শোক বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন