শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

দুই বছরে আইএসের হাতে নিহত হয়েছে ১৩০৯ জন

প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দুই বছরেই অন্তত ১৩০৯ জনকে হত্যা করেছে ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’র (আইএস) জঙ্গিরা। আর এই সময়ে জঙ্গিরা বেশি টার্গেট করেছে ইউরোপের দেশগুলিকেই। তাদের টার্গেটে রয়েছে আমেরিকাও। এর মধ্যে বেশির ভাগ ঘটনারই দায় বীরত্বের সঙ্গে স্বীকার করে নিয়েছে আইএস। বাকি ঘটনাগুলোতেও আইএস জিহাদিরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ২০১৪ থেকে আইএসের তা-বলীলার ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে বারবারই ওই জিহাদি সংগঠনের হানাদারির শিকার হয়েছেন মূলত পশ্চিমা দেশগুলির নাগরিকরা। তারা হয় খুন হয়েছেন তাদের দেশ বা ইউরোপেরই কোন দেশে। অথবা প্রাণ হারিয়েছেন এশিয়া বা আফ্রিকার দেশগুলিতে।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিদেশিদের ওপর আইএসের হানাদারি শুরু হয়েছিল আলজেরিয়ায়। ২০১৪ সালের অক্টোবরের সেই ঘটনায় আইএস জিহাদিরা এক ফরাসি নাগরিকের মাথা কেটেছিল। এর পর একই বছরের নভেম্বর, ডিসেম্বরে তারা আরও দু’টি হামলার ঘটনা ঘটায় কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায়। কানাডায় এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর পর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে তারা পিষে মেরেছিল পশ্চিমা নাগরিকদের।
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর হামলার ৫টি ঘটনা ঘটিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দু’টি ঘটনা ঘটেছিল ডেনমার্ক আর টিউনিসিয়ায়। টিউনিসিয়ার একটি মিউজিয়ামে আইএস জিহাদির হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বিদেশি পর্যটকরা। এর পর ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর, এই ৯ মাসে ইউরোপের দেশ বা বিদেশি নাগরিকদের ওপর আইএস জঙ্গিদের হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৯টি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দু’টি ঘটনার একটি ঘটেছে মিশরে। অন্যটি প্যারিসে। মিশরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২৪। প্যারিসে ১৩০। মিশরের সিনাইয়ে একটি রুশ যাত্রীবাহী বিমানকে গুলি করে মাটিতে নামিয়েছিল ইসলামিক স্টেট।
আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি নাগরিকদের ওপর আইএসের হানাদারির ঘটনা ঘটেছে মোট ২১টি। তার মধ্যে অন্যতম ব্রাসেলস, অরল্যান্ডো ও বাংলাদেশ। আবার ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬-র জুন পর্যন্ত আইএস এশিয়া ও আফ্রিকার যে যে দেশে হামলা চালিয়েছে (মিশর, ইয়েমেন, কুয়েত, তুরস্ক, লেবানন ও বাংলাদেশ) সেখানেও তাদের মূল টার্গেট ছিলেন পশ্চিমা দেশগুলির নাগরিকরাই। এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন