খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে এবং সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে এ পদ্ধতিতে মুক্তির জন্য কোথায় কিভাবে দরখাস্ত করতে হবে। প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রফেশনাল করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। তাই প্যারোলে মুক্তির দরখাস্ত এবং সব নিয়মকানুন মানার পরেই সরকার এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত দরখাস্ত বা এরকম কিছু পাওয়া না যাবে, ততক্ষণ হাওয়ার ওপরে কথা বলার প্রয়োজন নেই।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ সংস্থাসমূহের জন্য প্রণীত আইন বিষয়ক ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল’ (আইসিএনএল) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও সঞ্চালক ছিলেন শারমিন খান।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আনিসুল হক বলেন, সুশীল সমাজ প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সুশীল সমাজের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত নয়। সুশীল সমাজ আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নাগরিক মনোভাব গঠন এবং তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও রয়েছে এ সমাজের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ও বাংলাদেশে ডিএফআইডি’র সিনিয়র গভর্নেন্স এডভাইজার ও গভর্নেন্স টিম লিডার আইলিন বাকের। অনুষ্ঠানের প্যানেল আলোচক ছিলেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য অ্যারোমা দত্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন