শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর উত্তরা, কাওরান বাজার ও গুলশান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-১) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিনাত জিন্নাত এসব এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা সেক্টর ৪, ৬, ৭ ও ৯ এ ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখা ও বায়ুদূষণ করায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং নন্দন ডেভেলপার ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন রড ও মিকচার মেশিন রাখায় তা প্রকাশ্য নিলামে ১ লাখ ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এছাড়া সেক্টর-৬ এ দুটি অবৈধ গেট অপসারণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় কাওরান বাজারের উচ্ছেদ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে মুরগি পট্টির সামনের ফুটপাতে খাবার হোটেলের মালামাল রাখা, মুরগি রাখা ও জবাই করা ইত্যাদি কারণে ৩৩টি দোকানকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর ইটিভি ভবনের পেছনের গলি থেকে প্রায় ৬৫টি ভাসমান দোকান অপসারণ করা হয়।

রোসলিনা পারভীনের পরিচালনায় গুলশান ১ ও ২ এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা, দোকান উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় এবং লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ইংরেজি সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড, অপসারণ করা হয় এবং বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিনাত জিন্নাতের পরিচালনায় ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১ অনুযায়ী তেজগাঁও ও গুলশান থানাধীন ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৪৫ জন ভিক্ষুককে আটক করা হয়। তাদের মাঝে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক মর্যাদাপূর্ণ স্বাবলম্বী জীবন গড়ার জন্য সচেতনতামূলক ও উদ্বুদ্ধকরণ বক্তব্য প্রদান করা হয়। এছাড়া তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন মেয়াদে পুনর্বাসনের আদেশ প্রদানপূর্বক মিরপুরের সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন