শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদ জামাতের পাশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা

২ পুলিশসহ নিহত ৪ : আহত ১৫, আটক ৮

প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৮ পিএম, ৯ জুলাই, ২০১৬

এ কে নাছিম খান, কিশোরগঞ্জ থেকে : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদ জামাতের পশ্চিম পাশে আজিমুদ্দিন স্কুল সংলগ্ন মাঠের কোণে শতাব্দীর ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২ পুলিশ সদস্য, ১ গৃহবধূ ও ১ হামলাকারী জঙ্গিসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। এ সময় জঙ্গি হামলা ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়। বর্বর হামলা ঘটনায় পুলিশ আটজনকে আটক করেছে।
পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হামলাকারী জঙ্গিরা রেখি করে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠের উত্তর দিকে একটি গলির রাস্তা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশের দেহ তল্লাশিতে তারা আটকা পড়ে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর বোমা হামলা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। হামলাকারীদের আঘাতে পুলিশের এসআই নয়ন মিয়া ও ৮ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ঘটনার পরপরই মারা যান এবং কনস্টেবল আনসারুল হক বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গোলাগুলির সময় শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা ঝর্ণা রানী ভৌমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তিনি এ সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে তার স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘরে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ জানালা ভেদ করে একটি গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সন্ত্রাসীরা ওই এলাকার একটি গলিতে ঢুকে পড়ে। তখন পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে তাদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়।  প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে আবির রহমান (২৫) নামে এক জঙ্গি সন্ত্রাসী নিহত ও আরেক সন্ত্রাসী শফিউল আলম মুকাদিলকে (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করে। আহত অপর পুলিশ সদস্য এসআই নয়ন মিয়া, কনস্টেবল প্রশান্ত, জুয়েল, রফিকুল ইসলাম, তুষার ও মশিউর রহমানের অবস্থাও আশঙ্কাজন বলে জানা গেছে। তারা ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত পথচারী আ: রহিম, হৃদয় এবং মোতাহারসহ সাতজন কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম জানান, নিহত জঙ্গি আবির রহমান ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করত। তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে আবির ৪ মাস আগে নিখোঁজের পর ডিএমপিতে তার নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করা আছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতারকৃত অপরজনের নাম শফিউল আলম মুক্কাদিল বলে জানা গেছে। তার বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায়। সে মাদ্রাসার আলিম শ্রেণীর ছাত্র বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সে জানিয়েছে, হামলায় তারা পাঁচজন অংশ নিয়েছিল। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ র‌্যাব ১৪ হেড কোয়ার্টারে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, হামলা ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জাহিদুল হক (২৩) নামে এক যুবককে র‌্যাব আটক করেছে। সে কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা এলাকার আ: ছাত্তারের পুত্র। সে ঢাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করে বলে জানা গেছে। সূত্রটি আরো জানায়, আহত আটক জঙ্গি ও মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে শহরের বয়লা এলাকার আ: হাইয়ের ছেলে আহসান (২৪) ওরফে মাফিউদ্দিন, বাজিতপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শামছুদ্দিনের পুত্র সোহেল মিয়া (২৫) ভৈরব উপজেলার পঞ্চবটি এলাকার মৃত আ: জলিলের ছেলে তারা মিয়া (৫৫) শোলাকিয়া ঈদ জামাত সংলগ্ন গরুহাট এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মাসুম (২৫) শোলাকিয়া এলাকার হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা লাইলীকুঞ্জ বাসার বাড়িওয়ালা আ: হান্নান বাবুল। তার বাবার নাম মৃত হালিম ভূইয়া এবং শহরের কানিকাটা এলাকার আশরাফ উদ্দিনের ছেলে শাহীন (২২)-কে আটক করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলাকারীদের ধরতে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের একটি দল যোগ দিয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান চালিয়েছে।
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য আনসারুল হককে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তার লাশ দাফন করা হয়। তিনি একই গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরীসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। নিহত পুলিশ সদস্য আনসারুল হক পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। ২০০৬ সালে তিনি পুলিশে যোগ দেন।
অপর নিহত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম তপুকে ঐ দিন রাত ১২টায় ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা ইউনিয়নের বালাশর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা বাবা পুলিশ সদস্য (অবসরপ্রাপ্ত) আ: মজিদের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তার বড় বোন ফাতেমা খাতুনও একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত। ২০১১ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেয় তপু। চাকরির মাত্র ৫ বছরের মাথায় জীবনের ইতি টানতে হয়েছে তার।
হামলায় নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক শোলাকিয়া এলাকার নারায়ণ ভৌমিকের স্ত্রী। জঙ্গি হামলাকারী আবির রহমান ডান হাতে রিভলবার ও বাম হাতে চাপাতি নিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে এলোপাতাড়ি হামলার সময় পুলিশের গুলিতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তার লাশ কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
ঈদের আনন্দ ম্লান করে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার পরপরই পুলিেেশর ঢাকা রেঞ্জের ডিআআজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ঢাকার গুলশান কূটনৈতিকপাড়ায় গত ২ জুলাই স্প্যানিশ হলি আর্টিজান  রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বেকারিতে সশস্ত্র জঙ্গি হামলার ৬ দিন পর এ বর্বর হামলার যোগসূত্র থাকার কথা বলে মন্তব্য করেন।
ঘটনার পর দিন শুক্রবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় তিনি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশ থেকে চিরতরে জঙ্গি নির্মূলের জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। স্থানীয় ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ পুত্র রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ও ৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থলের পাশেই নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের স্বজনদের সান্ত¦না দেন এবং তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াসহ সৎকাজ সম্পন্ন করার জন্য শোকাহত পরিবারের হাতে এক লাখ টাকা প্রদান করেন।
স্মরণকালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জেলা প্রশাসনের সকল নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। তিনি নিহত ঝর্ণা রানী ভৌমিকের পরিবারের হাতে তাৎক্ষণিক নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, একটি চাপাতি ও একটি গ্রেনেড (অবিস্ফোরিত) উদ্ধার করেছে। আর এগুলো মামলার আলামত হিসেবে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। জঙ্গি হামলার বিভিন্ন আলামত শনাক্ত করতে ঢাকা থেকে সিআইডি ক্রাইম জোনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। আর ঘটনাস্থলের চার পাশ পুলিশ ও র‌্যাব কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘিরে রেখেছে।
পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এ জঙ্গি হামলার ব্যাপারে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার ওসি তদন্ত মো: শামছুদ্দিনকে বাদি করে সন্ত্রাস দমন আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে গতকাল শনিবার সকালে এ ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটনায় পুলিশের আইজিপি মো: শহিদুল হক মাঠের ৫০০ গজ অদূরে জঙ্গি হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, এ হামলাকারী দুর্বৃত্তরা জেএমবির সদস্য। তারা কোনো আইএসের সদস্য নয়। শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ভেতর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ওপর হামলা করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
তবে পুলিশের কঠের নিরাপত্তা থাকায় তারা মাঠে প্রবেশ করতে পারেনি। তিনি নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিকের বাসায় গিয়ে পরিবারের স্বজনদের সহানুভূতি জানান। পরে তিনি ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগা মাঠ পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম-এর অসীম বীরত্বের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তায় জামাতে অংশগ্রহণরত হাজার হাজার নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা পেল। তার নির্দেশে মাঠের চার পাশে এক কিলোমিটার পর্যন্ত পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় সন্ত্রাসী জঙ্গিরা মাঠের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এর আগেই পুলিশের নিরাপত্তার জালে আটকা পড়ে যায়। মাঠের ভেতরে এ জঙ্গি হামলা হলে বিপুল মানুষের প্রাণহানি ঘটত এবং হাজার হাজার আবাল বৃদ্ধ বণিতা হুলস্থুল বেঁধে পদধূলিত এমনকি পিষ্ট হয়ে মারা যেতেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হামলা ঘটনার খবর পেয়ে বিচক্ষণতার সাথে মাঠের কাউকে না জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং নির্বিগ্নে লাখো মুসল্লির ঈদ জামাতের নামাজ আদায় করেন।      
শোলাকিয়া মাঠের পশ্চিম পাশে আজিমউদ্দিন স্কুলের কাছে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও শোলাকিয়ায় লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে মাঠের ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসউদ হেলিকপ্টার দিয়ে কিশোরগঞ্জ গেলেও তিনি মাঠে যাননি। ঈদগা মাঠের সানি ইমাম (সহকারী ইমাম) মাওলানা সোয়ায়েব ঈদ জামাতের ইমামতি করেন।
শোলাকিয়ায় হামলায় প্রেসিডেন্টের নিন্দা
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার কাছে আজিমুদ্দিন স্কুলে পুলিশের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট এই বর্বরোচিত হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রেসিডেন্ট এ ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৮৮০ সাল থেকে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম যোগ দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে পুলিশের ওপর এ ধরনের জঘন্য হামলা একটি বর্বরোচিত ঘটনা। তিনি এ ধরনের বর্বরোচিত কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন