নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা বাজারে গত রোববার রাতে ফাও খেতে না দেয়ায় গরম তেল ঢেলে যুবদল নেতা রইছ উদ্দিনের (৪০) মুখম-ল ও হাত ঝলসে দিয়েছে যুবলীগ ক্যাডার ফজলু ম-ল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যুবলীগ ক্যাডার ফজলু ম-ল স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে বিশরপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমানের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তার অনুগত লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় বিভিন্ন দোকানপাট ও স্টলে ফাও খাওয়াসহ নানা ধরনের অপকর্ম, স্বেচ্ছাচারিতা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছে। কেউ তার এ সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতন। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশ দিয়ে করা হয় নানা ধরনের হয়রানি। ফজলু ম-ল ও তার লোকজনের ভয়ে এলাকার লোকজন অনেকটা নীরবেই তাদের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আসছে। গত রোববার রাতে ফজলুল ম-ল তার লোকজন নিয়ে বিশরপাশা বাজারে সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিনের স্টলে গিয়ে নাস্তা ও চা-পান, সিগারেট খেয়ে টাকা না দিয়েই চলে যেতে চাইলে রইছ উদ্দিন তাকে বিল দিয়ে যাওয়ার জন্য বললে, এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। ফজলু ম-ল ক্ষিপ্ত হয়ে রইছ উদ্দিনকে শালা তুই বিএনপি করিস বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে স্টলের সামনের চোলায় লোহার কড়াইয়ে থাকা গরম তেল তার শরীরে নিক্ষেপ করলে রইছ উদ্দিনের মুখম-ল ও হাত গরম তেলে ঝলসে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রইছ উদ্দিনকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এই লৌহমর্ষক ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে বিশরপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান যুবলীগ ক্যাডার ও তার সহযোগীদের রক্ষা করতে উত্তেজিত জনতার উপর লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গরম তেলে দগ্ধ রইছ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল (সোমবার) তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বিশরপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওইদিন রাতে রইছ উদ্দিন ও ফজলু ম-লের মধ্যে বাক-বিত-ার এক পর্যায়ে ফজলু গরম তেলের কড়াইয়ে লাথি মারলে রইছ উদ্দিনের শরীর ঝলসে যায়। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন