স্টাফ রিপোর্টার : পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মী আবরার আহমেদ খানকে (৩২) আটকের পর দূতাবাসে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে তাকে আটকের পর সন্ধ্যায় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান হাইকমিশন।
জানা গেছে, হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি জামিল আক্তার খান তাকে থানা থেকে নিয়ে গেছেন। সঙ্গে আবরারের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও (ঢাকা- মেট্রো হ ৩৯-৮২৪৭) ছাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
এর আগে, ডিবি পুলিশের একটি দল গতকাল সকালে গুলশান পার্কের পশ্চিম পাশ থেকে তাকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এরপর তাকে গুলশান থানায় রাখা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মো. মারুফ হোসেন সরদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সোমবার দুপুরে তাকে আটক করে গুলশান থানায় নেয়া হয়েছিল। দেহ তল্লাশি করে তার কাছে সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় রুপি পাওয়া গিয়েছিল। আবরার আহমেদ খান নামে ওই ব্যক্তি তখন নিজেকে পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মী (স্টাফ মেম্বার) বলে পরিচয় দেন। জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিকালে দূতাবাস কর্মকর্তাদের ডেকে তাকে হস্তান্তর করা হয়। ছেড়ে দেয়া হলেও আবরারের কাছে পাওয়া রুপি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাতে পাকিস্তান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবরারকে আটকের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, আবরারে বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এত আরো বলা হয়, আবরার আহমেদ খান পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস সেকশনে অ্যাসিসটেন্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি পদে ২০১১ সালে থেকে কর্মরত। গতকাল সকাল ১১টার দিকে খালি পায়ে থাকা অবস্থায় গোয়েন্দা পুলিশের ৪/৫ জন সদস্য তাকে জোরপুর্বক তার গুলশান-২ এর বাসার সামনে থেকে তার মোটরবাইকসহ একটি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি আমাদের জানান যে, গুলশান থানায় নেয়ার আগে তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এবং চোখ বেধে ৪ ঘন্টা গাড়িতে করে ঘোরানো হয়। এসময় ডিবি সদস্যরা তার কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা দাবি করে। তা না দিতে পারলে তাকে ভারতীয় জাল মুদ্রার ঘটনায় জড়িত করা হবে অথবা ক্রসফায়ারে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দেয়ারও হুমকী দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন