বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাপিয়াকান্ড মনগড়া তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে রিমান্ডে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তিন মামলায় রিমান্ডে থাকা পাপিয়ার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত নিয়ে ‘মনগড়া’ তথ্য প্রচার না করতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহবান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। মহানগর পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর মনস্তাত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরি হয়। যার ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ‘পেশাদারী ও দায়িত্বশীল আচরণ’ করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া, তার স্বামী নরসিংদীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন এবং তাদের দুই সহযোগীকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সে সময় বলা হয়, গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া করে সমাজের উঁচুতলার লোকদের জন্য অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছিলেন পাপিয়া। পরে জাল মুদ্রা, অস্ত্র ও মদ উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি মামলা হয় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিলেও একদিন বাদে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে বিভিন্ন তথ্য আসছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। ওয়েস্টিনে পাপিয়ার কারবারে জড়িত হিসেবে কয়েকজন সচিব, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, টকশোর আলোচক, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর নাম এসেছে সোশাল মিডিয়ায়।
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্তদেরকে ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়সমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ‘সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য’ দেয়া হয়নি দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম ও পরিচয় প্রকাশ ও প্রচার করছে। যার সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে কোনো সামঞ্জস্য নেই। উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থপাচার, বিদেশি জাল মুদ্রা সংরক্ষণ ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে র‌্যাব-১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পাপিয়া, তার স্বামী ও দুই সহযোগীকে। পরে তাদের নিয়ে ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৫৮ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও পিস্তল, গুলি ও মদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন