মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে ঃ কুড়িগ্রামে প্রধান নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিতর্তিত রয়েছে। কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬ সেন্টিমিটার কমলেও রোববার বিকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ সময়ে পানি কমেছে দুধকুমারে ৬ সে.মি ও ধরলায় ১০ সেন্টিমিটার।
ব্রহ্মপুত্র অবাহিকার ৬টি উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক দ্বীপচর ও চরগ্রামের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়। সদর উপজেলার রলাকাটা, ঝুনকারচর, চরপার্বতীপুর, ভগবতিপুর উলিপুরের গুঁজিমারী ও দাগারকুঠিসহ কয়েকটি চরে ব্যাপক ভাঙনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন আরো শতাধিক পরিবার। ঈদের আগে দুঃস্থ পরিবারগুলোর জন্য পরিবার প্রতি ২০ কেজি ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হলেও অনেকে তা পাননি। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা দুর্ভোগে থাকলেও এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলের পানিতে এখনো তলিয়ে আছে গ্রামের পর গ্রাম। ঐসব বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে চলাচল করছে ছোট ডিঙ্গি নৌকা আর ভেলায়। বিশাল এক জনগোষ্ঠী পানির মধ্যে আটকা পড়ে বেকার জীবন কাটাচ্ছে। কাজ করতে না পারায় দিন মজুর শ্রেণীর পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। টানা চারদিন থেকে পানিতে থাকতে থাকতে অনেক মানুষের হাতে পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে বেড়েছে জ¦রের প্রকোপ। হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, চরগুজিমারারী, চর দাগর কুঠি, অনন্তপুর, গাবুরজান, নয়াদাড়া, হাতিয়া বকসী, কাচারিয়ারঘাট, শ্যামপুর বাবুরচর এলাকায় প্রায় এক হাজার দুশ’ পরিবারে প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তিনি আরও জানান ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে গত ৭ দিনে চর দাগর কুঠি এলাকার ২শ’ পরিবারের ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে তারা এখন মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকার জন্য কোনো ত্রাণ বরাদ্ভ পাওয়া যায়নি। ব্রহ্মপুত্র অবাহিকার ৬টি উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক দ্বীপচর ও চরগ্রামের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন