প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। করোনার কারণে মুজিবর্ষের অনুষ্ঠানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা চাই কোথাও বড় ধরনের লোকসমাগম যাতে না হয়। জনগণ যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।
গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঢাকার তিনটি ও জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রেখেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণ সবচেয়ে বড়। আমরা উদযাপন করবো, কিন্তু উদযাপনটা একটু ভিন্নভাবে হবে। লোকসমাগম যাতে কম হয়, সেদিকে দৃষ্টি রেখে উদযাপন করবো। আমরা চাই কোনোভাবে জনগণ যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী এটা ছড়িয়েছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অহেতুক মাস্ক পরার দরকার নেই। সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অনেকেই পাগল হয়ে মাস্ক কিনছে। এটা করার দরকার নেই। শুধু যাদের সর্দি-কাশি আছে তাদের সাবধানে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দুই হাত সাবধানে রাখতে হবে। সব সময় যেন পরিষ্কার থাকে। হাচি দিলে যেন তালের তালু দিয়ে মুখ না ঢাকি। হাচির সময় কনুই বাকা করে মুখ ঢাকার বিষয়টি নিজে সরাসরি দেখান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বাইরে থেকে ফিরে ভাল করে হাত ধোয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা বিশাল আকারে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যেখানে লাখ লাখ মানুষ জমায়েত হবে। কিন্তু আমরা জমায়েতগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। এমনকি ২৬ মার্চ শিশুদের যে অনুষ্ঠান আমরা করি, সেটাও স্থগিত করেছি। যাতে কোনোভাবে এটা মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। তবে আমরা অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। পুষ্পমাল্য অর্পণ ও টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন