শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনাভাইরাস, অত্যধিক গোমূত্র পান করে রামদেব হাসপাতালে ভর্তির গুজব!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ১০:৩২ এএম

ভারতে গোমূত্র পান নিয়ে রয়েছে নানা সমালোচনার ঝড়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা মিলছে এক অদ্ভুত কাণ্ডের। করোনা থেকে বাঁচতে অত্যধিক গোমূত্র পান করেন যোগগুরু বাবা রামদেব। অসুস্থ হয়ে অবশেষে ঠাই হলো হাসপাতালে। খবর এইসময়।

বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের হানা থেকে বাঁচতে অত্যধিক গোমূত্র পান করেছিলেন রামদেব।

ব্যাপক হারে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। মারণ-ভাইরাসের থাবা আটকাতে প্রতিষেধক তৈরির জন্য রাত-দিন এক করে ফেলছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা। তবে সম্প্রতি হিন্দু মহাসভার তরফে দাবি করা হয়েছিল, করোনা রুখতে একমাত্র 'মহৌষধি' হল গোমূত্র।

আর এই দাবিকে হাতিয়ার করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বহু পোস্ট। সম্প্রতি এমনই এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের হানা থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসেবে গোমূত্র পান করেছেন যোগগুরু বাবা রামদেব। আর এর মাত্রা অত্যধিক হয়ে যাওয়াতেই এবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

দাবির স্বপক্ষে রামদেবের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে দেখা গেছে তাঁকে। ছবিতে দেখে প্রাথমিকভাবে যোগগুরু অসুস্থ বলেই মনে হচ্ছে। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন অনুগামীরাও।

তবে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিটি আসলে ২০১১ সালের। কালো টাকার বিরুদ্ধে টানা অনশন করা রামদেব যেদিন তা প্রত্যাহার করেন, সেদিন হাসপাতালে ওই ছবি নেওয়া হয়েছিল। একটানা অনশনে থাকার ফলে তাঁকে তুলনায় 'দুর্বল' দেখাচ্ছিল। তবে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে রামদেবের গোমূত্র খাওয়ার দাবি আদতে মিথ্যা।

ইংরেজিতে 'Baba Ramdev Weak Hospital' লিখে গুগল-সার্চের ফলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আসল ছবিটির সন্ধান মেলে। ওই খবর অনুযায়ী, দেরাদুনে অনশন ভঙ্গের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রামদেবকে। ২০১১-র ১২ জুন ওই ছবিটি তোলা হয়েছিল।

এছাড়াও বাবা রামদেবের মুখপাত্র তিজারওয়ালা এসকে-র তরফে গত ৫ মার্চ একটি টুইটে সাম্প্রতিক জল্পনায় জল ঢেলেছেন। লিখেছেন, 'এসবই ভুয়ো খবর। লজ্জারও বিষয়। সম্মাননীয় রামদেব সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। বিভিন্ন খবরের চ্যানেলকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।'

সূত্র: এইসময়

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন